বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘প্রচারে এমপি টুকুর বাধা’: তথ্য চাইল হাইকোর্ট

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:১৭

জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের চিঠি হাতে এসে পৌঁছলে আমরা আদালতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই উত্তর জানাব। প্রার্থীদের নিরাপত্তার আবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

পাবনার বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু নির্বাচনি প্রচারে বাধা দিচ্ছেন কি না, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাবনার রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

বেড়া পৌর নির্বাচনে সোমবার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও টুকুর ভাই আব্দুল বাতেনের করা রিটের শুনানিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

আব্দুল বাতেনের পক্ষের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান ও মুহাম্মদ সাইফুল আলম।

সাইফুল আলম জানান, বেড়া পৌর নির্বাচনে পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর বড় ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে লড়ছেন। নিজের ছেলেকে জেতাতে সংসদ সদস্য টুকু আচরণবিধি ভেঙে এলাকায় অবস্থান করে নির্বাচনি সভায় অংশ নিচ্ছেন।

স্থানীয় নির্বাচনে তার প্রচারে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে কমিশনে গত ১৪ নভেম্বর চিঠি দেয়ার পরেও তিনি এলাকা ছাড়েননি। তার উপস্থিতিতে আব্দুল বাতেনের সমর্থক ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এমনকি তিনি নিজেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের দয়ামায়া না করে পিষে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। যা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে।

বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা হলে বেড়া পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংসদ সদস্য টুকুর এলাকা ছাড়ার নির্দেশে দেয়া নির্বাচন কমিশনের চিঠির অগ্রগতি সম্পর্ক জানাতে নির্দেশ দেয়। আগামী ২৫ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানির দিন ঠিক করা হয়।

নিরাপত্তা চেয়ে প্রার্থীর আবেদনের বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা হলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান সাইফুল ইসলাম।

পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সংসদ সদস্য টুকুর ছোট ভাই আব্দুল বাতেন, বড় ভাইয়ের মেয়ে এস এম সাদিয়া আলম, এইচ এম ফজলুর রহমান মাসুদ ও কে এম আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগে সংসদ সদস্য টুকুকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে গত ১৪ নভেম্বর চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তিনি অসুস্থতার অজুহাতে এলাকা না ছেড়ে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশকে প্রভাবিত করছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।

আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনি এলাকায় অবস্থানের বিষয়ে সাংসদ শামসুল হক টুকু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাকে চিঠি দিয়ে বলেছে আমি যেন নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলি। আর সম্ভব হলে যেন এলাকার বাইরে থাকি। কিন্তু আমি তো এলাকার মানুষ, আমি যাবটা কোথায়? আমি এখানকার ভোটার। আমি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কোনো কাজ করছি না।’

বেড়া পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মাহবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের চিঠি হাতে এসে পৌঁছলে আমরা আদালতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই উত্তর জানাব। প্রার্থীদের নিরাপত্তার আবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, প্রার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জেলা পুলিশ যা যা করণীয় তাই করবে।

এ বিভাগের আরো খবর