সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ৩০ জুন বা তার আশপাশের সময়ে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সচিবালয়ে সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক-পরবর্তী ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। গণভবন প্রান্ত থেকে সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সরকারপ্রধান। আর মন্ত্রিসভার সদস্যরা ছিলেন সচিবালয় প্রান্তে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পদ্মাসেতুর কাজ ৮৭ ভাগ শেষ হয়েছে। আশা করছি, আগামী বছরের ৩০ জুন বা তার আশেপাশের সময়ে আমরা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।’
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর শেষ হয় পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর কাজ। আর এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতুর জন্য শুরু থেকে অর্থায়ন জটিলতা ছাড়াও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ওঠে মাটির নিচের গঠনজনিত জটিলতা নিয়ে। ৪২টি পিলারের মধ্যে ১৪টির নকশা পাল্টাতে হয়েছে। সেটির সমাধানও হয়েছে অভিনব উপায়ে।
২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর মূল নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর মূল কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সরকারের সম্ভাব্যতা জরিপে বলা হয়, সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এতে ওই অঞ্চলের মানুষের আয় বাড়বে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ৭ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের।
জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সমীক্ষাতে বলা হয়, পদ্মাসেতুর কারণে জিডিপি বাড়বে ১ দশমিক ২ শতাংশ। এতে আরও বলা হয়, পদ্মা সেতু দিয়ে প্রতিদিন ২১ হাজার ৩০০ যান চলাচল করবে। ২০২৫ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৪১ হাজার ৬০০।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষায় বলা হয়, পদ্মাসেতু চালু হলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে ১ শতাংশ হারে।