ঢাকা-কলকাতা ও খুলনা-কলকাতার পর এবার ঢাকা থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ি পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। শিগগিরই এ ট্রেন চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। দার্জিলিংয়ে রোববার এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ আশা জানান।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করতে দুই দেশের মধ্যে পরিবহন ব্যবস্থার বিস্তার ঘটাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে শিগগিরই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ভারতের উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল পরিষেবা চালু করা হবে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এমনিতেই ভালো। সেই সম্পর্ককেই সুদৃঢ় করতে আরও রেল সেবা বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছে কেন্দ্র। কেন্দ্র থেকেই দুই শহরের মধ্যে রেল চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। শিগগিরই এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে পশ্চিমবঙ্গের হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হওয়ায় এ নতুন রুটের কাজে আরও সুবিধা হবে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি।
‘এতে পণ্য পরিবহনে একাধিক নতুন সুযোগ তৈরি হবে। উত্তরবঙ্গে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য ভারতে আসা মানুষও যাতায়াতে বিশেষ সুবিধা পাবে। তবে প্রাথমিকভাবে শিলিগুড়ি-ঢাকা রুটে মালবাহী ট্রেন চালু হলেও আগামী দিনে যাত্রীবাহী রেল চলাচল করবে।’
এর আগেও হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের আখাউড়া থেকে ত্রিপুরার আগরতলা পর্যন্ত রেল পরিষেবা চালুর জন্য নতুন সংযোগের কাজ শুরু হয়েছে।
দীর্ঘ ৫৬ বছর পর চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে মালবাহী রেল চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যে মোট পাঁচটি রেল পরিষেবা চালু রয়েছে।
এগুলো হলো বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল, দর্শনা থেকে গেদে, রোহনপুর থেকে সিঙ্গাবাদ, বিরল থেকে রাধিকাপুর এবং চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি। এসব রুটেই মালবাহী রেল চলাচল করে। তবে কলকাতা স্টেশন থেকে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস নামে ঢাকা ও খুলনাগামী দুটি রেল চলাচল করছে।
করোনা সংক্রমণের কারণে প্রায় এক বছর দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকার পর চলতি বছরের আগস্ট মাসে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে রেল চলাচল শুরু হয়। অন্যদিকে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে দুই দেশের মধ্যে বিমানও চালু হয়েছে।