বিদেশে পাঠিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে আন্দোলন আরও জোরালো করার আভাস দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেন।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নেত্রীর সুচিকিৎসার জন্য যে আন্দোলন করছি সেটার ফল পেতে চাই। আপনারা আপনাদের কাঁথা-বালিশ নিয়ে তৈরি হন, বাড়ির কথা ভুলে যান, রাস্তায় স্থায়ীভাবে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিন। তাহলে আন্দোলনে সফল হব।’
রাজধানীতে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন ইশরাক।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, আমরা আজকে এখানে কী কারণে উপস্থিত হয়েছি। বর্তমান সরকার আইনের ধারা দেখাচ্ছে। বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে। আপনারা সবাই জানেন, এগুলো কিছুই না, এগুলো শুধু অজুহাত। শীর্ষ সন্ত্রাসী, বহু খুনের ফাঁসির আসামিকে রাতের আঁধারে ঢাকা সেন্ট্রাল জেল থেকে কর্ডন করে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন শীর্ষ সন্ত্রাসী ফাঁসির আসামিকে দণ্ড মওকুফ করে দেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট, তখন কোনো আইন দেখা হয় না।’
সরকারের উদ্দেশে ইশরাক বলেন, ‘আপনারা দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েন না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার চক্রান্ত হিসেবেই তাকে মুক্তি দিচ্ছে না সরকার। তার মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে তার অনুসারীরা জীবন ও রক্ত দিতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি কথা, আমাদের প্রিয় নেত্রী, আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। তার মুক্তি হলে তাকে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পাব। তার চিকিৎসায় বাধা সরকারের অনৈতিকতা।’
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং তার সুচিকিৎসা নিশ্চিতে আন্দোলন ভিন্ন কোনো পথ নেই বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আন্দোলন আন্দোলন, আন্দোলন হচ্ছে একমাত্র পথ।’