জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় সমাবেশ শেষ হয়। সেখান থেকেই মিছিল নিয়ে বের হয় ছাত্রদল। মিছিলটি কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের সামনে পৌঁছলে পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রেস ক্লাবের সমাবেশ শেষ করে স্লোগান সহকারে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে মৎস্য ভবন হয়ে কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের সামনে পৌঁছাই। সেখানে পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর সামনে ও পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হন।’
এ সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সহসভাপতি পার্থ দেব মণ্ডল, মাজেদুর রহমান রুমন, সাজিদ হাসান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিল হাসান, শাহ নেওয়াজ, রাজু আহমেদ তবিবুর রহমান সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ জুয়েলসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পুুলিশের লাঠিচার্জে আহত এক ছাত্রদল কর্মী। ছবি: নিউজবাংলা
সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার পর পুলিশ অবস্থান নিয়ে বাধা দেয়। মৃদু লাঠিচার্জ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করা হয়।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওরা মৎস্য ভবন-কাকরাইল হয়ে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে এলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ দেখে ওরাই চলে গেছে। কোনো আটক বা গ্রেপ্তার নেই।’
এর আগে প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ২৪ তারিখে আমরা সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে স্মারকলিপি দেব। এতে যদি মুক্তি না হয়, তাহলে আরও কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
আন্দোলন ছাড়া পথ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন আন্দোলন, আন্দোলন হচ্ছে একমাত্র পথ।’