সিলেটে জরুরি কাজে যাবেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রফিক আহমদ। কিন্তু সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জ বাস টার্মিনালে এসে দেখেন বাস বন্ধ৷
তখন তিনি মন্তব্য করে ওঠেন ‘ভাড়া বাড়ানির পরেও আবার ধর্মঘট, ইটা আবার কোনটা।’
এভাবে শুধু রফিক আহমদ নয়, হঠাৎ ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন সুনামগঞ্জের সাধারণ মানুষ।
নিয়মিত যানবাহন না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যাত্রীরা যাচ্ছেন নিজ গন্তব্যে। আবার গাড়ি না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন কেউ কেউ।
সোমবার সকাল ৬টা থেকে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি বন্ধ, মেয়াদোত্তীর্ণ সেতু থেকে টোল আদায় বন্ধসহ ৫ দফা দাবি আদায়ে সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়।
হঠাৎ ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন সুনামগঞ্জের সাধারণ মানুষসরেজমিনে, সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুর এলাকার নতুন বাস স্টেশন এলাকায় গেলে সেখানে দেখা যায়, সব রকমের দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চললেও নেয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা৷ এ ছাড়া কোনো রকমের ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ ডাকা এমন ধর্মঘটে বিব্রত অবস্থায় পড়েন যাত্রীরা।
সুনামগঞ্জ শহরে কেওয়াই স্টিলে কাজ করেন মোহাম্মদ নুরুল আরেফিন।
তিনি বলেন, ‘সকালে আসলাম অফিসের কাজে জগন্নাথপুর যাবার জন্য। কিন্তু বাস স্টেশনে এসে দেখি বাস বন্ধ, কোনো বাস চলবে না। কেন বাস চলবে না সেটাও জানি না। হঠাৎ করে ডাকা ধর্মঘটে আমাদের কি কোনো লাভ হচ্ছে? এখন অফিসকে জানাইছি দেখি তারা কী বলেন।’
তাহিরপুর উপজেলা সদর এলাকা থেকে সিলেটের তাজপুরে ধান কাটতে যাবেন আলী নূর৷
তিনি বলেন, ‘সকালত্তি বালা আইয়া দেখি বাস নাই, আমরা গরিব মানুষ, এমনিই এখন হকলতার দাম বাড়াইল, বাস ভাড়াও বাড়ছে। তারপরেও অখন আবার হুনি ধর্মঘট, ইতা গরিব মারার বুদ্ধি।’
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেজাউল করিম বলেন, ‘সবার ভালোর জন্যই এই ধর্মঘট। আমাদেরও পরিবার আছে। আমাদের ৫ দফা দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।’