সুস্থ থাকতে আমাদের মেনে চলতে হয় নানা নিয়ম-কানুন। রাত না জাগা, সারা দিন তিন থেকে চার লিটার পানি খাওয়া, ফাস্টফুড এড়িয়ে চলাসহ অনেক কিছুর দিকেই খেয়াল রাখতে হয়। তবে সবচেয়ে বেশি নজর দেয়া জরুরি খাদ্যগুণ জেনে খাবার গ্রহণ করা।
যেকোনো স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের মধ্যে সহজেই পাওয়া জিংক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মিনারেল। প্রতিদিন আমাদের শরীরের জন্য ১৫ মিলিগ্রাম জিংকের দরকার হয়। এর অভাব হলে শরীরে দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা। জিংকের অভাবে শরীরের প্রায় ৩০০টির মতো এনজাইমের সঠিক পরিচালনা কাজে অসুবিধা হয় বলে শরীরজুড়ে দেখা দেয় প্রতিক্রিয়া।
জিংকের অভাবে-
. কোষের কার্যকারিতা কমে যায় ও হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে।
. প্রোটিন তৈরি ব্যাহত হয়।
. গর্ভকালীন জিংকের অভাবে শিশুর জন্মগত ত্রুটি দেখা যায়, শিশুর ওজন কমে যায়।
. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
. নিউরোলজিক্যাল পদ্ধতি ব্যাহত হয়। পাশাপাশি স্মৃতিশক্তিও কমে যায়।
. চুল পড়ে যায়।
. পুরুষের প্রজনন ক্ষমতাও কমে যায়।
.মানসিক দুর্বলতা, কাজে অমনোযোগ, বিষণ্নতা, সিজোফ্রেনিয়া ও ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেয়।
. অকারণেই কিছুদিন পর পর ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে থাকে। এগুলো ছাড়াও শরীরের আরও নানা জটিলতা দেখা যায়।
কোন খাবারে আছে জিংক
স্বাস্থ্যসম্মত প্রায় সব খাবার থেকেই জিংক পাওয়া যায়। তবে মিষ্টি কুমড়ার বিচি, কাজুবাদাম, মটরশুঁটি, মাশরুম, মুরগির মাংস, দই, কচু শাক, সামুদ্রিক মাছ, গরু-খাসির কলিজা, আটা-ময়দার রুটি, দুগ্ধজাত খাদ্য, শিমজাতীয় উদ্ভিদ, মসুর ডাল, সয়াবিন ও ঝিনুকে প্রচুর পরিমাণে জিংক থাকে।