সুচিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে এবং তার মুক্তির দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দলটির নেতা-কর্মীরা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সোমবার সকাল ১০টা থেকে ঘণ্টা খানেক বিক্ষোভ করে বিএনপি। দলটির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন সকাল ৯টা থেকেই। বিএনপির বিক্ষোভ-সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থিত হয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ আরও অনেকে।
খালেদার মুক্তি ও তাকে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসা করানোর দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার গণ-অনশন শেষে দেশব্যাপী বিক্ষোভ-সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
ঘোষণায় দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এবার খালেদার মুক্তি কিংবা তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।’
১৩ নভেম্বর বিকেলে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় পরের দিন ভোরে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।
খালেদার অবস্থা ভালো নয় বলে বিএনপি থেকে জানানো হয়েছে। মানবিক স্বার্থে হলেও দলীয় প্রধানকে বিদেশ নিয়ে যেতে সরকারের অনুমতি চেয়েছেন তারা। বিদেশ পাঠিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন বাঁচাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
তবে খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে সরকার থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া যাচ্ছে না। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বারবার বলেছেন, বিএনপিপ্রধানের করা আবেদনটি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় তাকে বিদেশ যেতে অনুমতি দেয়ার আইনি কোনো সুযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনারও ইঙ্গিত খালেদাকে বিদেশে যেতে না অনুমতি দেয়ার।