পাঁচ দফা দাবিতে সিলেট বিভাগে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যান চলাচল।
যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি পণ্যবাহী যানবাহনও বন্ধ রয়েছে। আচমকা ডাকা এ ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুতে টোল আদায় বন্ধ, নগরের ভেতরে ছোট গাড়ির পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করাসহ ৫ দফা দাবিতে রোববার এ ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
এর আগে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ৫ নভেম্বর থেকে টানা ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের ঘন ঘন ধর্মঘটে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
পরিবহন ধর্মঘটে অচল সিলেটসিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা হোসেন আহমদ। প্রতিদিন সিলেট থেকে তিনি গোয়ালবাজারে অফিসে যান।
তিনি বলেন, ‘কিছু হলেই পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকে বসেন। আমাদের জিম্মি করে তারা নিজেদের দাবি আদায় করতে চান। এটা খুবই অন্যায্য।’
আইন করে জরুরি সেবা, পরিবহন খাতের ধর্মঘট বন্ধের দাবি জানান তিনি।
আগের ধর্মঘটে মাইক্রোবাস, অটোরিকশা চলাচল করলেও এবার সেগুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে অনেকটাই অচল হয়ে পড়েছে সিলেট। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ বলেন, ‘গত ৯ নভেম্বর সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর আমরা ৫ দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। সেসব দাবি মানার কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।’
শ্রমিকদের ৫ দফা দাবি হলো সিলেট জেলা অটোটেম্পো ও অটোরিকশাচালক শ্রমিক জোটের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা এবং প্রহসনমূলক নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তথাকথিত ঘোষিত কমিটি বাতিল করা ও মনোনয়ন ফি বাবদ আদায় করা টাকা ফেরত দেয়াসহ সিলেটের আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের উপপরিচালককে প্রত্যাহার।
সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের ওপর কোতোয়ালি থানায় করা মামলা প্রত্যাহার।
সিলেটের ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা।
মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুতে (শেরপুর সেতু, শেওলা সেতু, লামাকাজী সেতু, ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু ও শাহপরান সেতু) টোল আদায় বন্ধ করা।
সিলেটের চৌহাট্টাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে কার, মাইক্রোবাস, লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট গাড়ির জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা।