বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্টেডিয়ামে পাকিস্তানি জার্সি ও পতাকা প্রতিরোধের ঘোষণা

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২১ ০০:৫৩

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘৩০ লাখ শহীদ আর দুই লক্ষাধিক মা-বোনের আর্তনাদের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতার শত্রু যারা আজো রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চায়নি, ক্ষতিপূরণ দেয়নি। যারা আজও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে-তাদের হয়ে এদেশীয় দালাল গোষ্ঠীকে একাত্তরে মতোই প্রতিহত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা।’

বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশের কেউ পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে এলে এবং পাকিস্তানের জার্সি পরে এলে সেটি প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে ‘পাকিস্তানী দালাল রুখবে তারুণ্য’ নামের একটি সংগঠন।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।

সোমবার বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ম্যাচের আগে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ম্যাচের আগে তারা মিরপুরে অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের আহ্বায়ক হামজা রহমান অন্তর।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘৩০ লাখ শহীদ আর দুই লক্ষাধিক মা-বোনের আর্তনাদের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতার শত্রু যারা আজো রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চায়নি, ক্ষতিপূরণ দেয়নি। যারা আজও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে-তাদের হয়ে এদেশীয় দালাল গোষ্ঠীকে একাত্তরে মতোই প্রতিহত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা।’

ইতোমধ্যে বাংলাদেশের খেলার দিন পাকিস্তানের পতাকা হাতে উল্লাস করলে ব্যবস্থা নেয়ার আভাস দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ চলার সময় অভাবনীয় এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়ের মধ্যে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। এটা দুর্ভাগ্যজনক যদি কেউ করে থাকে।’

রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের জার্সি হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রসঙ্গটি নিয়ে কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়াই করেন।

মোজাম্মেল বলেন, ‘একটি টিমকে যে কেউ সাপোর্ট করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে খেলার দিন অন্য টিমকে সাপোর্ট করা একজন দেশপ্রেমিক নাগরিকের জন্য নিঃসন্দেহে এটা কারো কাছেই শোভনীয় মনে হবে না।’

গত ১৯ নভেম্বর থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়েছে। প্রথম ম্যাচ থেকেই পাকিস্তানি জার্সি ও পাকিস্তানের পতাকা হাতে নিয়ে একদল তরুণ ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিচ্ছে।

বিস্ময়কর কিছু বক্তব্যও এসেছে। খোলাখুলিভাবে কয়েকজন তরুণ বলেছেন, তারা বাংলাদেশি, কিন্তু পাকিস্তানকে ভালোবাসেন। একজন তরুণ এও বলেছেন, এখন দুই দেশ আলাদা হলেও একসময় এক ছিল এবং ভাগ হয়ে যাওয়াটাই দুর্ভাগ্যজনক।

বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। নিজের দেশের খেলা বাদ দিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে গলা ফাটানোয় হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হওয়ার কথা বলেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, ‘খেলার সঙ্গে কোনো কিছু মেলানো যায় না, এটা ঠিক। খেলাটা যখন আমাদের দেশে আর খেলছে আমাদের দেশ, সেখানে অন্য যে দেশ খেলুক না কেন, তাদের পতাকা তাদের দেশের মানুষ ছাড়া আমাদের দেশের মানুষ ওড়াবে, এটা দেখে সত্যি কষ্ট লাগে।’

পাকিস্তানি খেলোয়াড় ফখর জামানও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, খেলা দেখে তার মনেই হচ্ছে না এটি অন্য দেশ। যেন তিনি নিজের দেশেই খেলছেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘দৃষ্টিতে যেহেতু আসছে, এটা সরকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা অবশ্যই নেবে। বাংলাদেশের নাগরিক কি না, আমি ঠিক জানি না, আমরা দেখব।’

কবি আবদুল হাকিমের একটি জনপ্রিয় কবিতার পঙ্‌ক্তিও শোনান মন্ত্রী। বলেন, ‘কবি অনেক আগে বলেছে, যে সবে বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী, সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি। এমন কিছু তো থাকেই।’

এ বিভাগের আরো খবর