বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ওয়ানগালা’ হলো গারো পাহাড়ে

  •    
  • ২১ নভেম্বর, ২০২১ ২৩:৪০

এবার গারো পাহাড় এলাকার ঝিনাইগাতী উপজেলার মরিয়মনগর ও নালিতাবাড়ীর বারোমারী ধর্ম পল্লীতে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। থক্কা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এই উৎসব।

নবান্ন বা ওয়ানগালা উৎসব উদযাপন করেছেন গারো সম্প্রদায়ের মানুষ। এটি তাদের সাংস্কৃতিক ও কৃষ্টির অন্যতম প্রধান উৎসব।

রোববার শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকায় ওয়ানগালা উৎসব সকালে শুরু হয়ে সারাদিন চলেছে।

এক সময় গারো পাহাড় এলাকার জুম চাষ বা নতুন ধান ঘরে উঠানোর সময় শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’কে উৎসর্গ করে ওয়ানগালা উৎসবের আয়োজন করা হতো। এই সম্প্রদায় বিশ্বাস করতো, তাদের শস্য দেবতা এক সময় তাদের পূর্বপুরুষদের হাতে কিছু শস্য দিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমরা এটা রোপন করো, তাতে তোমাদের আহারের সংস্থান হবে এবং তোমরা যে শস্য পাবে তা থেকে সামান্য কিছু শস্য আমার নামে উৎসর্গ করবে।’

তবে বর্তমানে গারোরা খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ায় তারা নতুন ফসল কেটে এখন যিশু খ্রিস্ট বা ঈশ্বরকে উৎসর্গ করে ওয়ানগালা পালন করেন।

এবার গারো পাহাড় এলাকার ঝিনাইগাতী উপজেলার মরিয়মনগর ও নালিতাবাড়ীর বারোমারী ধর্ম পল্লীতে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। থক্কা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এই উৎসব। এরপর প্রার্থনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে নাচ গানে মেতে ওঠেন উপস্থিত গারোরা। মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো জনপদ।

উৎসবে অনেকেই যোগ দেন তাদের ফসলের কিছু অংশ প্রভুর নামে উৎসর্গ করতে। আবার কেউ এসেছেন প্রভুর কাছে দয়া চাইতে।

উৎসবে উপস্থিত গারো শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা ভলো ফলাফলের আশায় প্রভুর কাছে এসেছেন। তাদের বিশ্বাস প্রভু আশির্বাদ করলে সবকিছুই ভালো হবে।

স্কুলছাত্রী অনন্যা ম্রং বলেন, ‘আমরা এসেছি ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে সামনের পরীক্ষায় যেন ভালো ফল করতে পারি।’

রাইছা নকরেক বলেন, ‘প্রভু আমাদের সবকিছুই দেন। তাই তার কাছে আমাদের ফসল উৎসর্গ করার জন্য ওয়ানগালা উৎসব করছি।’

দিওন ম্রং বলেন, ‘আমরা অনেক আনন্দ করছি। প্রভুর প্রতি আমরা খুব খুশি। উনি আমাদের ফসল দেন, খাবার দেন, পরিবারের সঙ্গে সবসময় থাকেন।’

শেরপুরের ঝিনাইগাতী মরিয়মনগর ধর্ম পল্লীর সাধারণ সম্পাদক অসিম ম্রং জানান, ওই ধর্মপল্লীতে ১৯৮৫ সাল থেকে ওয়ানগালা উৎসব পালন শুরু হয়।

শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর যে কোনো কর্মকাণ্ডে সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছি।’

এ বিভাগের আরো খবর