বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মণ্ডপের পাশে কোরআনসহ আটক যুবক ‘কিছুটা মানসিক রোগী’

  •    
  • ২১ নভেম্বর, ২০২১ ২২:৩৮

সদর মডেল থানার ওসি মাসুক আলী বলেন, ‘মিজানুরের বিষয়ে আমরা ব্যাপক খোঁজখবর নিয়েছি। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের প্রাথমিক ধারণা, তিনি কিছুটা মানসিক রোগী। বিভিন্ন সময় তাকে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যেত।’

হবিগঞ্জে পূজামণ্ডপের পাশ থেকে পবিত্র কোরআন শরিফসহ আটক সেই যুবক মানসিকভাবে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে করছে পুলিশ। তবে তার নামে মামলা হয়েছে। আর আদালতে তোলার পর বিচারক পাঠিয়েছে কারাগারে।

গত শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরীবাজার সর্বজনীন পূজামণ্ডপের পাশ থেকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় আটক হন মিজানুর রহমান নামের এই যুবক। পরে তার ব্যাগে একটি কোরআন শরিফ পাওয়া যায়।

মিজানুরের আটকের বিষয়টি গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় একটি পূজামণ্ডপের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। সেই মণ্ডপে একটি কোরআন পাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় হয় সারা দেশে। হিন্দুদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ হয়। পরে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, ইকবাল হোসেন নামের এক যুবক গভীর রাতে কোরআনটি সেখানে রেখে আসেন।

হবিগঞ্জে মণ্ডপের পাশে কোরআন নিয়ে মিজানুরের ঘোরাঘুরির পেছনে অন্য কোনো কারণ ছিল কি না সেটির খোঁজে নামে পুলিশ।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মিজানুরের বিষয়ে আমরা ব্যাপক খোঁজখবর নিয়েছি। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের প্রাথমিক ধারণা, তিনি কিছুটা মানসিক রোগী। বিভিন্ন সময় তাকে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যেত।

‘এর আগে গত ২২ অক্টোবর সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির জন্য এনএসআই তাকে শহরের ইনাতাবাদ থেকে আটক করে থানায় দেয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরদিনই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।’

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ নিউজবাংলাকে জানান, মিজানুরের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায়। শুক্রবার দুপুর থেকে তিনি মণ্ডপের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় কয়েকজন যুবক নজর রাখা শুরু করেন। বিকেলের দিকে তাকে মণ্ডপের পেছনে দেখা যায়। সে সময় স্থানীয়রা মিজানুরকে আটক করে ব্যাগে একটি কোরআন শরিফ পান।

বিষয়টি চৌধুরীবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে জানালে পুলিশ এসে ওই যুবককে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সদর মডেল থানায় নিয়ে শুক্রবার রাতে ও শনিবার দিনব্যাপী কয়েক দফা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের কাছে তার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়েছে।

পরিদর্শক দৌস জানান, সন্দেহজনক চলাচলকারী হিসেবে পুলিশ শনিবার রাতে মিজানুরের নামে ৫৪ ধারায় মামলা করেছে। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ওই রাতেই তাকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ইয়াসির আরাফাতের আদালতে তোলা হলে তিনি তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ বিভাগের আরো খবর