চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতি হত্যা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। একইসঙ্গে হাতি হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাক্টিভিস্ট আদনান আজাদ, ফারজানা ইয়াসমিনসহ তিন ব্যক্তি এই রিট আবেদন করেন।
রিটে পরিবেশ সচিব, বন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইন সচিব, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনান নিউজবাংলাকে বলেন, 'চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতি মেরে ফেলা হচ্ছে। হাতি হত্যা বন্ধে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে এবং রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।'
রিটটি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির শুনানি হবে বলে তিনি জানান।
আইনজীবী বলেন, দেশে ১২টি এলিফ্যান্ট করিডোর রয়েছে। কিন্তু এসব এলাকা এলিফ্যান্ট করিডোর হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। অথচ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে হাতি চলাচলের জন্য করিডোর সংরক্ষণের কথা বলা আছে।
তিনি বলেন, করিডোর সংরক্ষণ না করায় মানুষ সেখানে ঘরবাড়ি তৈরি করছে। হাতি চলাচলের পথে বাধা পেয়ে ওইসব ঘর-বাড়ি ভেঙে দিয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষ আর হাতির মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। আর এ কারণেই হাতি মেরে ফেলা হচ্ছে।
এ অবস্থায় হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।