টেকসই উন্নয়নে অভিষ্ট লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে জাতিসংঘ সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘দ্য ইউনাইটেড নেশনস সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক’ শীর্ষক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সচিব মিজ ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার লগ্ন থেকেই জাতিসংঘ বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ও বিশ্বস্ত অংশীদার এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের স্বপ্ন ছিল একটি দারিদ্র ও শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। জাতির পিতার সেই অর্থনৈতিক দর্শন অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে করোনা পূর্ববর্তী গত এক দশকে গড়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
‘এমনকি অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯ মহামারির সময় গত বছর যেখানে বৈশ্বিক অর্থনীতি তিন শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, এমন ক্রান্তিকালেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে টেকসই উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলন- ২০২১ এ আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের বড় অর্জন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা এলডিসি থেকে উত্তরণ করতে চলছি। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জন এবং এই উন্নয়নের সুবিধাসমূহ যেন সবাই সমানভাবে পায়, তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। বাংলাদেশের অতি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনমানে টেকসই পরিবর্তন আনতে জাতিসংঘ সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে।’
এসডিজির অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে জাতিসংঘের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা বলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মিজ ফাতিমা ইয়াসমিন।
বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী মিজ্ মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা, প্রতিটি শিশুর জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের পাশে আছে এবং আগামীতে থাকবে।’