এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পঞ্চম দিনে নয়টি শিক্ষা বোর্ডে ২১ হাজার ৬১০ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নকল করার অভিযোগে পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এদিন সকাল ১০টায় ভূগোল ও পরিবেশ এবং দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পরীক্ষা। এর মধ্যে ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে ১৬ হাজার ৪০৯ জন এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পরীক্ষায় ৫ হাজার ২০১ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ২০০ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম শিফটের পরীক্ষায় ৮ লাখ ৭ হাজার ৭৭২ শিক্ষার্থীর অংশ নেয়ার কথা থাকলেও অংশ নেন ৭ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৩ শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে অনুপস্থিত ছিলেন ৩ হাজার ৮৬৯ জন, চট্টগ্রামে ১ হাজার ৫৩৭ জন, রাজশাহীতে ১ হাজার ৬৯০ জন, বরিশালে ১ হাজার ২১৯ জন এবং সিলেটে ১ হাজার ৪৪১ জন। এছাড়া দিনাজপুরে ১ হাজার ৪৯৭ জন, কুমিল্লায় ২ হাজার ১২৭ জন, ময়মনসিংহে ১ হাজার ১৬৭জন এবং যশোরে ১ হাজার ৮৬২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
এদিন ঢাকা বিভাগের একজন, বরিশালে একজন ও দিনাজপুরে দুইজন পরীক্ষার্থীকে নকলের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।
রোববার বেলা ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৩১০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা থাকলেও অংশ নেন ৩ লাখ ২৯ হাজার ১০৯ জন শিক্ষার্থী। ওই হিসাবে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ২০১ জন। এদিন কুমিল্লা বিভাগের একজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনা মহামারির কারণে এই পাবলিক পরীক্ষা নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বেড়েছে। গতবার পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন।
মোট ২৯ হাজার ৩৫টি স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ পরীক্ষার্থীর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।