চীন থেকে কেনা করোনার টিকা নিলে ওমরাহ করতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
রোববার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আগামী বছরের হজ সুন্দরভাবে পরিচালনার করতে পূর্ব প্রস্তুতি সংক্রান্ত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সৌদি সরকার বাংলাদেশ হতে সিনোভ্যাক বা সিনোফার্মা করোনা প্রতিরোধী টিকা গ্রহণকারীরা বুস্টার ডোজ ছাড়াই ওমরাহ্ পালন করতে পারবেন।’
এতদিন সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার ও মডার্নার টিকার দুই ডোজ নিলেই ওমরাহ করতে যাওয়া যাবে। কিন্তু দেশটি সিনোফার্মের টিকা নিলে ওমরাহ করতে দেবে না বলেছিল।
বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে করোানর গণটিকা শুরু হলেও পরে ফাইজার ও মডার্নার টিকাও প্রয়োগ করা শুরু হয়। তবে এখন সবচেয়ে বেশি টিকা আছে চীন উদ্ভাবিত সিনোফার্মের টিকা।
বৈঠকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজের প্রস্তুতি শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আশা করছেন সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ৮ জুলাই পবিত্র হজ হবে এবং বাংলাদেশি হজযাত্রীরা এতে অংশ নিতে পারবেন।
এ বিষয়ে সৌদি -বাংলাদেশ হজ চুক্তির পর বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে আগামী হজ সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে হজের অনেক কার্যক্রমের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে ২০২০ ও ২০২১ সালে সৌদি আরবের বাহিরের দেশ হতে হজযাত্রীগণ সৌদি আরব গমণ করতে পারেননি। বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় পবিত্র ওমারহ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে বিপুল সংখ্যক ওমরাহ যাত্রী সৌদি সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য শর্তাবলি পালন সাপেক্ষে ওমরাহ পালন করছেন।’
বৈঠকে প্রাক-নিবন্ধনের বিদ্যমান অবস্থা, নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বিদ্যমান অবস্থা, হজ প্যাকেজ, প্রাক নিবন্ধন ও নিবন্ধন কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়, পাসপোর্ট, রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভ, বাংলাদেশ হত ওমরা পালনের নিমিত্ত সৌদি আরবে গমনকারী ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ প্রদান, হজ যাত্রীদের জন্য টিকা ক্রয়, ইলেকট্রনিক হেলথ প্রোফাইল, হজের কার্যক্রম বিষয়ে প্রচার- প্রচারণা, হজ এজেন্সি নবায়ন ও তালিকা প্রকাশসহ নানা বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হয়।