ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্ধারিত সুরক্ষা বলয় ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়া ক্রিটেকার মুস্তাফিজুর রহমানের ভক্ত চাঁদপুরের চান্দিনা থানার বাসিন্দা রাসেলের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালত এ আদেশ দেয়।
মিরপুর মডেল থানার নন-জিআর শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
কেপিআইভুক্ত এলাকায় হঠাৎ করে বাংলাদেশের পতাকা শরীরে পেঁচিয়ে স্ট্যান্ড বেয়ে নামার সময় রাসেল কিছুটা আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে আদালতে চালান করা হয়।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) সঞ্জীব কুমার সাহা রাসেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, ২০ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান দলের মধ্যকার আন্তর্জাতিক দ্বিতীয় টি-২০ ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তান দল ব্যাটিং করছিল। ১২ ওভার চলাকালীন সময় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান বোলিং করা সময় নর্দান স্ট্যান্ড দর্শক গ্যালারি থেকে রাসেল তার নিজের কাছে থাকা জাতীয় পতাকা গ্যালারির রেলিংএ বেঁধে তা বেয়ে নিচে নেমে মাঠে ঢুকে পড়ে। মাঠের মধ্যে সন্দেহজনকভাবে এদিক-সেদিক দৌঁড়াতে থাকেন। দৌঁড়ানোর এক পর্যায়ে বিসিবির সিকিউরিটির কাজে নিয়োজিতদের বিষয়টি দৃষ্টি গোচড় হলে তারা দৌঁড়ে আসামিকে ধরে ফেলেন এবং মাঠের বাইরে নিয়ে আসেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, রাসেলকে বিসিবি কর্তৃপক্ষ মিরপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তার এমন দুরভিসন্ধিমূলক ও সন্দেহভাজন কাজের জন্য তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। অসংলগ্ন এলোমেলো তথ্য দেন।
আবেদনে বলা হয়, ‘শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম একটি প্রথম শ্রেণির কেপিআই এবং সংরক্ষিত এলাকা জানা সত্বেও রাসেল মাঠে অবৈধভাবে প্রবেশ করে কোন ধর্তব্য অপরাধ করার উদ্দেশে সন্দেহজনকভাবে মাঠের মধ্যে প্রবেশ করেছে মর্মে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়। রাসেলের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। রাসেল কেন মাঠের মধ্যে প্রবেশ করেছে? তার কারণ কি এবং ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে রাসেলের সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।’
তবে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।