বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্রহণে অপরূপ রক্তিম চাঁদ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:২০

গ্রহণের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ টেক্সাসের শেরম্যান থেকে রক্তিম চাঁদের ছবিটি তুলেছেন মুনীম হোসেন রানা। পদার্থবিদ মুনীম হোসেন নিজেকে অ্যামেচার রেডিও হবিস্ট হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন।

৫৮০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম মেয়াদে চন্দ্রগ্রহণ শুক্রবার দেখেছে বিশ্ববাসী।

চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে অবস্থান করে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদে গিয়ে পড়ে, সেটাই হচ্ছে চন্দ্রগ্রহণ। এটি পূর্ণ কিংবা আংশিক হতে পারে। সাধারণত বছরে তিনবার চন্দ্রগ্রহণ ঘটে থাকে।

এবারের চন্দ্রগ্রহণটি অনেক দিক থেকে ছিল অনন্য। এটি প্রায় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ (৯৯.১%), সেই সঙ্গে ছিল অনেকটা রক্তিম।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যখন সূর্যের আলো প্রবেশ করে, তখন সব ডিরেকশনেই স্ক্যাটারিং ঘটে। তবে অন্যান্য রঙের তুলনায় নীল রং বেশি স্ক্যাটারিং হয়। এর কারণ এর ওয়েভলেংথ ছোট এবং স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করে। তাই বেশির ভাগ সময়ই আমরা আকাশ নীল দেখি।

তবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্যের দূরত্ব বেশি থাকায় আলো আমাদের চোখে আসার আগে বায়ুমণ্ডলের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে, তাই ছোট ওয়েভলেংথের (নীল রং) চেয়ে বড় ওয়েভলেংথের (লাল, হলুদ) আলো আমরা বেশি দেখি। এ কারণেই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের আকাশে লাল ও হলুদের মাত্রা বেশি দেখা যায়।

ঠিক এভাবেই চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে সূর্যের যে আলো চাঁদে পৌঁছায়, তাতে লালের প্রাধান্য থাকে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যত বেশি ধূলিকণা অথবা মেঘ থাকবে, চাঁদে লাল আলো তত বেশি প্রতিফলিত হবে।

এবারের প্রায় সম্পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের স্থায়িত্ব ছিল ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ২৩ সেকেন্ড। এর আগে ১৪৪০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের চন্দ্রগ্রহণ দেখেছিল বিশ্ব। এরপর ২৬৬৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ ধরনেরই দীর্ঘ একটি চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে, সেটির স্থায়িত্ব হবে ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ২ সেকেন্ড।

এবারের গ্রহণের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ টেক্সাসের শেরম্যান থেকে রক্তিম চাঁদের ছবিটি তুলেছেন মুনীম হোসেন রানা। পদার্থবিদ মুনীম হোসেন নিজেকে অ্যামেচার রেডিও হবিস্ট হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। অবসরে পৃথিবী ও এর বাইরের রেডিও সিগন্যাল নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করেন।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং বাংলাদেশ অ্যামেচার রেডিও লিগের (বিএলআরএল) মহাসচিব ছিলেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে বসবাসরত মুনীম হোসেন ফেস রিকগনিশন-এর লেজার নিয়ে কাজ করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর