মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অপসারিত কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক ওরফে সাঈদসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলায় আসামিদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে ১৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মাহবুবুল হাসান বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
বিচার শুরু হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমান, আবুল কাশেম, তানভীর আহমেদ, ছালাউদ্দিন, আসাদ শাহ চৌধুরী, আওলাদ হোসেন ও জামাল উদ্দিন।
আসামিদের মধ্যে লোকমান হোসেন, ছালাউদ্দিন, আওলাদ হোসেন ও জামাল উদ্দিন জামিনে আছেন। এনামুল হক আরমান কারাগারে। অপর চারজন পলাতক।
শুনানিকালে আরমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর চার আসামি আদালতে হাজিরা দেন। এই পাঁচ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ নয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আবেদন করেন। পলাতক আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
উভয়পক্ষে শুনানি শেষে আদালত উপস্থিত পাঁচ আসামির কাছে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ। আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিল থানায় লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন সিআইডির উপ- পুলিশ পরিদর্শক রায়হানুল ইসলাম সৈকত। তদন্ত শেষে নয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির উপ-পুলিশ পরিদর্শক জায়েদ আলী জাহিদ।
চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হলরুমে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বর্ণিত সংঘবদ্ধ অপরাধ কর্মে যুক্ত ছিলেন।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর আদালত এই মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে মমিনুল হক সাঈদসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।