রেজিস্ট্রেশনবিহীন দেড় শতাধিক মোটরযান আটক করে মামলা দেয়ার কথা জানিয়েছে পঞ্চগড়ের পুলিশ।
চলতি মাসের শুরু থেকে রোববার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এই মোটরযানগুলো আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে জেলার মাসিক সমন্বয় সভায় অবৈধ গাড়ি চলাচল বন্ধে অভিযান চালানোর এই সিদ্ধান্ত হয়।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শহরসহ আশপাশের এলাকায় বাইকসহ বিভিন্ন মোটরচালিত যানবাহন আইন অমান্য করে চলাচল করছে। এসব চালকের জন্যে শহরে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই আছে।
এর মধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শুরু হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তোরজোড়। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা লাইসেন্স ছাড়াই রেজিস্ট্রেশনবিহীন বাইক নিয়ে চলাচল করছে।
পুলিশ আরও জানায়, অভিযানে প্রতিদিন প্রায় ৩০-৫০টি অবৈধ মোটরসাইকেল জব্দ করা হচ্ছে। এসব যানের চালকদের বিরুদ্ধে পরিবহন আইন অনুযায়ী মামলা করে তাদের গাড়ি থানায় নেয়া হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশনের টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার পরই সেগুলো ফেরত দেয়া হচ্ছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, আশঙ্কাজনক হারে জেলা সদরে রেজিস্ট্রেশনবিহীন বাইকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী-সমর্থকরা একাধিক আরোহী নিয়ে শহরে চলাচল করছে। তাদের ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছে পুলিশ।
তিনি জানান, গত শনিবার শহরের জালাশি মোড়ে অভিযান পরিচালনার সময় সদর থানার দুজন পুলিশ কর্মকর্তা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার ইউনুস আলী বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পুলিশকে সহায়তা করার জন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি।’