বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাতি বাঁচাতে মানববন্ধন

  •    
  • ২১ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:৩০

জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার বলেন, ‘হাতি বনে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু হাতি তো বনেও নিরাপদে চলাচল করতে পারছে না। হাতিকে সব সময় উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে। আমরা চাই হাতির জন্য অভয়াশ্রম করে দেয়া হোক। হাতি চলাচলের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ বাড়িঘর উচ্ছেদ করতে হবে।’

বন্য হাতি হত্যার প্রতিবাদে, হাতির অভয়াশ্রম এবং বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার দাবিতে শেরপুরে মানববন্ধন হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে রোববার বেলা আড়াইটার দিকে নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের আয়োজনে ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইইডির সহযোগিতায় ঘণ্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন হয়।

শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় একসময় বিরাট এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ছিল। ধীরে ধীরে তা সংকুচিত হয়ে এসেছে। পাহাড় দখল করে গড়ে উঠেছে জনবসতি। এই এলাকার বেশির ভাগ বন্য প্রাণী নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট আছে শুধু হাতি।

পাহাড়ে হাতির খাদ্যসংকট থাকায় তারা নেমে আসছে লোকালয়ে। ক্ষতি করছে ধান, শাকসবজিসহ নানা কৃষি আবাদের। ক্ষিপ্ত হয়ে মানুষ হাতির ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। হাতিও পাল্টা আক্রমণ করছে।

এই মানুষ-হাতির যুদ্ধে দুই দশকে নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে গেছেন শতাধিক। বাড়িঘর, ফসল, গাছপালার ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে কয়েক কোটি টাকার ওপরে। একই সময়ে নানা কারণে মারা গেছে প্রায় ২০টি হাতি।

তবে এখন হাতি তাড়াতে জিআই তারের বেড়ায় দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ-সংযোগ। এতে হাতি মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে। হাতি রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছে শেরপুরের কয়েকটি সংগঠন।

রোববারের মানববন্ধনে জনউদ্যোগ শেরপুর শাখার আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গারো পাহাড়ে ১০ দিনের ব্যবধানে দুটি হাতির মৃত্যু খুবই উদ্বেগজনক বিষয়। বনে হাতিদের অভয়ারণ্য গড়ে তুলে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার বলেন, ‘হাতি বনে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু হাতি তো বনেও নিরাপদে চলাচল করতে পারছে না। হাতিকে সব সময় উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে। আমরা চাই হাতির জন্য অভয়াশ্রম করে দেয়া হোক। হাতি চলাচলের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ বাড়িঘর উচ্ছেদ করতে হবে।’

মানববন্ধন শেষে জনউদ্যোগের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। স্মারকলিপিতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাসহ হাতি চলাচলের স্থানে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের অন্য জায়গায় পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে হাতির অভয়াশ্রম গড়ে তোলা, প্রাণীটির প্রতি সদয় আচরণ ও হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর