বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে কোনো আন্দোলন করলে সরকার বাঁধা দেবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সচিবালয়ে রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তবে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে তা দমন করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দোয়া মাহফিল করতে পারেন, মানববন্ধন করতে পারেন। তারা রাজনৈতিক দল, কর্মসূচি দিতে পারেন। কিন্তু যদি মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য সম্পদ রক্ষার জন্য আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় প্রস্তুত থাকবে।
‘তারা যদি ওই জায়গায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন বা জান-মাল বিনষ্টের প্রচেষ্টা করেন তাহলে কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আমি আবারও বলছি, তারা বৈধভাবে যে কোনো ডেমোনেস্ট্রেশন করতে পারেন সেখানে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো কিছু বলার নেই।’
বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর দাবিতে সারা দেশে গতকাল শনিবার গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছে দলটির নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে সোমবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর কারাগারে নেয়া হয়। সেখানে কারাবন্দি ছিলেন দুই বছর। গত বছরের ২৫ মার্চ তার পরিবারের আবেদনে এক নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।
এরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়লেও বিদেশে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
গত ১৩ নভেম্বর শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
সেখানে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি সরকারের কাছে আবারও আবেদন জানিয়েছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। একই আবেদন জানিয়ে রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ৫ শীর্ষ নেতা।
এরা হলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ক্বারী মোহাম্মদ আবু তাহের, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব শাহদাৎ হোসেন সেলিম।