কুষ্টিয়ার মিরপুরে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার তদন্তে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী নিহতের বাবা।
তিনি মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইকে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
জেলা প্রেসক্লাবে সংবাস সম্মেলনে এসে এসব কথা বলেছেন ওই ব্যক্তি। এ সময় তিনি নিহতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সাংবাদিকদের দেখান। তাতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, একাধিক স্থানে আঘাত ও আগুনে পোড়ানোর চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মিরপুরের ভাঙা বটতলা এলাকায় গত ১৫ জুলাই একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়। ওই রাতেই পুলিশ মিরপুরের আমলা সরকারি কলেজের ছাত্র মো. আপনকে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করে।
পরদিন জেলা পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলন করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আপন ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। আদালতেও তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
সংবাস সম্মেলনে নিহতের বাবা জানান, ঘটনার পর মামলার জন্য তিনি একাধিক আসামির নাম দেন। তবে পুলিশ কেবল একজনকেই আসামি করেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আলামত মিলেছে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই স্কুলছাত্রীর দেহে কয়েক জায়গায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। গলায় রশি প্যাঁচানোর দাগও আছে। ১২টি স্থানে আগুন দিয়ে পোড়ানোর ক্ষতও রয়েছে; যা সিগারেটের ছ্যাঁকা। এ ছাড়া ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত ফুটন্ত তরল ঢেলে দগ্ধ করা হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, একাধিকবার পুলিশকে বলা হয়েছে এই ধর্ষণ ও হত্যা আসামি আপনের একার পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। এ বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে লিখিত আবেদনও জানানো হয়। তবে সেসব আমলে নেয়া হয়নি।
তারা সব আসামিকে গ্রেপ্তারের এবং মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইকে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানান, ডিএনএ পরীক্ষা করে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা দেখা হবে।