লেনদেনের প্রায় অর্ধেক ব্যাংকের। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির মধ্যে নতুন তালিকাভুক্ত দুটি বাদ দিলে কেবল ব্যাংক আর ব্যাংক। সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে, এমন ১০টি কোম্পানির ৭টিও এই খাতের।
এ অবস্থাতেও সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার সূচক কমে গেছে। তবে লেনদেনে দেখা গেছে ঊর্ধ্বগতি। বিগত ২৬ কর্মদিবসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে এদিন।
গত ১৩ অক্টোবর লেনদেন ছিল ১ হাজার ৯৫২ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২৬তম কর্মদিবসে আজ হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৭৮৬ কোটি ২৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
এই লেনদেনের মধ্যে কেবল ব্যাংক খাতে হাতবদল হয়েছে ৭৭৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কমে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৫ পয়েন্ট। তবে দিনের একপর্যায়ে সূচক উঠেছিল ৭ হাজার ১৩৭ পয়েন্টে।
ব্যাংকময় পুঁজিবাজারে প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ভালো দিন গেছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও আর্থিক খাতে। অন্য খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল, সিমেন্ট, খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন, বিমা, বস্ত্র, টেলিকমিউনিকেশনস খাতে ঘটেছে দরপতন।
ব্যাংকের পাশাপাশি একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে ঘুমিয়ে থাকা মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে। তবে দর বৃদ্ধির হার আর লেনদেন খুব একটা বেশি নয়। বেশির ভাগ ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ পয়সা। অল্প কিছু ইউনিটের দর বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ পয়সার মধ্যে।
আর্থিক খাতেও বেড়েছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতোই এই খাতেও দর বৃদ্ধির হার খুব একটা বেশি নয়।
সব মিলিয়ে যতগুলো কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে তার প্রায় দ্বিগুণ। বেড়েছে ১১৪টি কোম্পানির দর, কমেছে ২২৯টির।
সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হলেও শেষ বেলায় পড়ে যায় তা
২০১০ সালের মহাধসের পর হতাশার ব্যাংক খাত করোনার মধ্যে শক্তি দেখিয়েছে। এ সময়ে প্রায় সব কোম্পানির আয় বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লভ্যাংশ। চলতি অর্থবছরে গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি আয় করতে পেরেছে ব্যাংকগুলো। তাই বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের প্রত্যাশাও বাড়ছে।
তবে এর মধ্যেও গত বছরের জুন থেকে শুরু হওয়া উত্থানে অন্য অনেক খাতের তুলনায় ব্যাংকের শেয়ারের দর বেড়েছে কমই। যদিও গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বাজার সংশোধনের মধ্যে অন্যান্য খাতের তুলনায় এই খাতের কোম্পানিগুলো দর ধরে রাখতে পারে অনেকটা।
যেসব ব্যাংক গত দুই মাসে দর হারিয়েছিল, তারা এক দিনের উত্থানেই তা পুষিয়ে নিয়েছে।
গত সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার থেকেই ব্যাংকের এই উত্থান দেখা যাচ্ছে। আর বেশির ভাগ ব্যাংকের দরই গত কয়েক বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানকে ছাড়িয়ে গেছে।
ব্যাংকের দিকে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকতে থাকায় অন্যান্য খাতে আগ্রহ কমছে। আর বাজার সংশোধনে লোকসানে পড়া বিনিয়োগকারীরা বাড়তে থাকা ব্যাংকে বিনিয়োগ করে তাদের লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।
সব মিলিয়ে এই খাতের ৩২টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ২৭টির দর। সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দরে উত্থান ঘটা এনআরবিসি ও ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর পড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। অন্য দুটির দর কমেছে সামান্য। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
যেসব কোম্পানির কারণে সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েছে, তার ১০টির মধ্যে ৮টিই ছিল ব্যাংক খাতের
তবে সূচকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখা কোম্পানিটি ব্যাংক খাতের নয়। এটি হলো খাদ্য খাতের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি।
তবে সূচকে পয়েন্ট যোগ করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানির ৮টিই ছিল ব্যাংক খাতের। বাকি একটি কোম্পানি হলো ইউনাইটেড পাওয়ার।
আর ব্যাংক, বিএটিবিসির উত্থানের দিনও সূচক কমেছে ব্র্যাক ব্যাংক, ওয়ালটন, লাফার্জ, এসিআই, বিএসআরএম লিমিটেড, ডেল্টা লাইফ, এনআরবিসি, আইসিবি, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও মবিল যমুনার দরপতনের কারণে।
তবে এসব কোম্পানির মধ্যে এসিআই, বিএসআরএম লিমিটেড ও অলিম্পিকের শেয়ারের দরপতন হয়েছে লভ্যাংশসংক্রান্ত সমন্বয়ের কারণে। গত বৃহস্পতিবার এসব কোম্পানির রেকর্ড ডেট ছিল। এর মধ্যে এসিআই নগদের পাশাপাশি বোনাস শেয়ারও দিয়েছে। সে হিসেবে বোনাস শেয়ারের সমন্বয় হয়েছে। বাকিগুলো কেবল নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। নগদ লভ্যাংশের সমন্বয় না হওয়ার কথা থাকলেও দেশের পুঁজিবাজারে এটি হয়ে থাকে।
ব্যাংকের উত্থানের মধ্যেও যেসব কোম্পানি সূচক ফেলে দেয়ায় ভূমিকা রেখেছে, তার মধ্যে শীর্ষে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক
আবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া কোম্পানিটি হলো বেক্সিমকো লিমিটেড। শেয়ার প্রতি সাড়ে ৩ টাকা লভ্যাংশ যারা নিতে চান, তাদের জন্য আজই শেয়ার কেনার শেষ সুযোগ ছিল। আর এদিন কোম্পানিটির ১২৭ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতবদল হয়েছে। দিনভর ওঠানামা করতে করতে শেষ পর্যন্ত শেয়ার দর বেড়েছে ৭০ পয়সা।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানির ৭টিই ছিল ব্যাংক খাতের আর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানির ১৩টি ছিল এই খাতের।
ব্যাংক খাতে যেসব কোম্পানির দর বাড়ল সবচেয়ে বেশি
ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের ৯.৬৩ শতাংশ। প্রতি শেয়ারে ১ টাকা ৩০ পয়সা বেড়েছে। ব্যাংকটির ৫ কোটি ৭৬ লাখ ১ হাজার ৬৫টি শেয়ার হাতবদলের মাধ্যমে ৮৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
তারপরই ছিল স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, যার শেয়ারদর ৯.৬২ শতাংশ বেড়ে ১০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে হয়েছে ১১ টাকা ৪০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।
ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫২ শতাংশ। স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের ৯.৪৬ শতাংশ।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের দর ৭.৫৮ শতাংশ আর প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৭.৩৬ শতাংশ বেড়েছে। এক্সিম ব্যাংকের দর বেড়েছে ৬.৭৭ শতাংশ।
দর পতনে থাকা চারটি ব্যাংকের মধ্যে এনআরবিসি শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৬০ পয়সা, ব্র্যাক ২ টাকা ২০ পয়সা, ইসলামী ২০ পয়সা ও আইএফআইসি ১০ পয়সা দর হারিয়েছে। দর অপরিবর্তিত ছিল আইএফআইসি ব্যাংকের।
দর বৃদ্ধিতে শীর্ষ দশ কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া দুটি কোম্পানিই নতুন তালিকাভুক্ত, যেগুলোর দর প্রতিদিনই বাড়ছে প্রায় ১০ শতাংশ, কিন্তু লেনদেন হচ্ছে না বললেই চলে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল একমি পেস্ট্রিসাইডস। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির দর প্রতিদিনই ১০ শতাংশ বা আশেপাশে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। তবে লেনদেনে ছিল না গতি। ৫০ বাড়ে হাতবদল হয়েছে ১৫ হাজার ১৭৩টি শেয়ার।
রোববার ব্যাংক খাতে যত টাকা লেনদেন হয়েছে, ৫ খাত মিলিয়েও এত লেনদেন হয়নি
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি প্রতিদিনই প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে এখন দর দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ১০ পয়সা। তবে লেনদেন হয়েছে নগণ্য পরিমাণে। ৭৫ বারে হাতবদল হয়েছে ৪ হাজার ৭৭১টি শেয়ার।
ব্যাংক খাতের ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকের দর বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।
বস্ত্র খাতের তুং হাই নিটিংয়ের শেয়ার দর টানা তিন তিন বেড়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণে। আগের দিন ৬ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হওয়া কোম্পানিটির দর বাড়ার সুযোগ ছিল ৬০ পয়সা। ততটাই বেড়ে দর হয়েছে ৭ টাকা ২০ পয়সা।
৫ শতাংশের বেশি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে এমন সংখ্যা ছিল নয়টি। চার শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে তিনটির। তিন শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ১৬টি কোম্পানির। দুই শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর বেড়েছে ২০টি কোম্পানির।
দর পতনে শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষ তালিকার প্রথমেই এসিআই লিমিটেডকে দেখা গেলেও আসলে দর অতটা কমেনি। আগের কর্মদিবসে দর ছিল ৩৩৫ টাকা ৮০ পয়সা। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ২৯৭ টাকা ৪০ পয়সা।
আপাতদৃষ্টিতে দর কমেছে ১১.৪৩ শতাংশ। তবে আসলে কমেনি অতটা। কোম্পানিটি এবার শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৫০ পয়সা নগদের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছে, যার রেকর্ড ডেট ছিল গত বৃহস্পতিবার।
বোনাস শেয়ারের বিষয়টি হিসাব করলে কোম্পানিটির শেয়ারদর সমন্বয় হয়ে দাঁড়ায় ২৯২ টাকায়। তবে দিন শেষে সেখান থেকে ৫ টাকা ৪০ পয়সা বেড়েছে। সেই সঙ্গে শেয়ার প্রতি সাড়ে ৬ টাকা করে নগদ লভ্যাংশও যোগ হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি দর হারানো কোম্পানিটি আসলে মুনস্পুল পেপার, যার দর কমেছে ৯.৯৫ শতাংশ। আরামিট সিমেন্টের শেয়ার দরও কমেছে ৯.৯৫ শতাংশ।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের লেনদেন বেশি না হলেও প্রায় সব ইউনিটের দর বেড়েছে
কোম্পানি বিক্রি হয়ে যাওয়ার তথ্য অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার পর মিথুন নিটিংয়ের দর কমে যায় ৯.৩৭ শতাংশ। দারুণ লভ্যাংশ দেয়ার পরও প্রথম প্রান্তিকে লোকসান হওয়া আরগন ডেনিমের শেয়ার দর কমেছে ৯.২৬ শতাংশ।
ওটিসি ফেরত পেপোর প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ার দর কমেছে ৮.৯২ শতাংশ, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের ৮ শতাংশ, সাফকো স্পিনিংয়ের ৭.৬৬ শতাংশ, গোল্ডেনসনের দর ৭.৬২ শতাংশ কমেছে।
লেনদেনে শীর্ষ ১০
এই তালিকা বছরের বেশিরভাগ দিনের মতোই আবার বেক্সিমকো লিমিটেডের দখলে। সারা ৩৫ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি সাড়ে ৩ টাকার লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের শেয়ার কেনার শেষ সুযোগ কাজে লাগানোর দিন লেনদেন হয়েছে ১২৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির ৭৩ লাখ ২৪ হাজার ২টি শেয়ার মোট হাতবদল হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকে লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে ছিল ওয়ান ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির মোট ৮৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ৫ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৮ টি শেয়ার।
ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের মোট লেনদেন হয়েছে ৮৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ১ হাজার ৬৫ টি শেয়ার।
এনআরবিসিতে লেনদেন হয়েছে ৫৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ১১৫ টি শেয়ার।
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৫৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৮১ টি শেয়ার।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ২ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৮৫টি।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২ কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার ৪১২ টি শেয়ার।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা। শেয়ার দর ৮৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৪ টাকা ৫০ পয়সা।