প্রকৃত আসামি শনাক্তে দেশের কারাগারগুলোতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আগামী ১ ডিসেম্বর কারা মহাপরিদর্শক, সুরক্ষা বিভাগের সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
রোববার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির পরিবর্তে নির্দোষ মিনুর জেল খাটার ঘটনায় আলোচিত মামলার শুনানির সময় হাইকোর্ট এ আদেশ দেয়।
ওই নির্দেশর পরে কারা মহাপরিদর্শক একেএম মোস্তফা কামাল পাশা স্বাক্ষরিত এক একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অপরাধীদের সঠিক শনাক্তকরণ ও বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে কারাগারে আটক বন্দিদের ক্রিমিনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট চালু করতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এবং গাজীপুর জেলা কারাগারে চালু হয়। যা ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া তাদের কার্যক্রমের বিবরণ দেন।
পরে আদালত শুনানি নিয়ে ফের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শিশির মনির। কারাকর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন মো. সারোয়ার হোসেন।
এর আগে আদালত কারাগারে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।
তারই ধারাবাহিকতায় আজকে বিষয়টি আদালতে শুনানির জন্য আসে।