বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দাখিল পরীক্ষার্থী ১৫, বিয়ে হওয়ায় অনুপস্থিত সবাই

  •    
  • ২১ নভেম্বর, ২০২১ ০৯:৫৩

অনুপস্থিতির কারণ জানতে যোগাযোগ করা যায় এক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কিশোরী বলে, ‘বিয়ের পর আর লেখাপড়া কইর‍্যা কী হবি। এখন তো সংসার সামলাতে হয়। ঘর-গেরস্থালি সামলাতে হয়। বাড়িতে পড়ালেখ্যার পরিবেশ নাই। তাই পরীক্ষা দেয়া হয় নাই।’

নাটোরের বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থীদের সবার বিয়ে হয়ে গেছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব পরীক্ষায় তাদের অনুপস্থিতির কারণ খুঁজতে গেলে এই তথ্য বেরিয়ে আসে।

পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের সচিব ইব্রাহিম হোসাইন জানান, তার কেন্দ্রের অধীনে ৫টি মাদ্রাসার ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র স্ব-স্ব মাদ্রাসা সুপারদের কাছে বিতরণ করা হয়। সবশেষে বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসা সুপারকে ১৫ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র দেয়া হয়।

ইব্রাহিম আরও জানান, এরই মধ্যে মানবিক গ্রুপের দুটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ওই মাদ্রাসা থেকে কেউ পরীক্ষা দিতে আসেনি। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ওই ১৫ জনের কেউই পরীক্ষা দিচ্ছে না। এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপারের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়। তবে তাতেও কোনো লাভ হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা হয় ওই ১৫ শিক্ষার্থীদের একজনের অভিভাবকের সঙ্গে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা বাইড়্যি গেলে মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। মিয়া ছাওয়ালের লেখাপড়াও হচ্চিল না। ভালো বর পায়্যি মেয়েক বিয়্যা দিয়্যা দিছি। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরীক্ষা দেয়ালো না।’

অনুপস্থিতির কারণ জানতে যোগাযোগ করা হয় এক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কিশোরী বলে, ‘বিয়ের পর আর লেখাপড়া কইর‌্যা কী হবি। এখন তো সংসার সামলাতে হয়। ঘর-গেরস্থালি সামলাতে হয়। বাড়িতে পড়ালেখ্যার পরিবেশ নাই। তাই পরীক্ষা দেয়া হয় নাই।’

এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রউফ জানান, চলতি বছর ১৫ জন ছাত্রীর পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। করোনাকালে তাদের বিয়ে হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, কিশোরীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রবেশপত্র দেন। পরীক্ষা দিতে অনুরোধও করেন। তবে কেউ সাড়া দেয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর