ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ হয়ে আওয়ামী লীগের পদ হারিয়েছেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের তিন নেতা। দলীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির পাশাপাশি তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক এই বহিষ্কার বলে জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় নেতারা এ তথ্য জানান।
পদ হারানো নেতারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন মিয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাদত হোসেন লিটন ও কাশালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরহাদ মল্লিক।
এবারের নির্বাচনে সালাউদ্দীন মিয়া মহারাজপুরে, শাহাদত হোসেন লিটন গোহালায় ও ফরহাদ মল্লিক কাশালিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সমর্থন ও নৌকা প্রতীক চেয়ে না পেয়ে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শিকদার, সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফ আলী আশু, প্রচার সম্পাদক জাহিদুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হায়দার হোসেনসহ স্থানীয় নেতারা ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ২ নভেম্বর বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুসারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজের দায়ে তিন নেতাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ১২ নভেম্বরের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ (ঞ) ও ৪৭ (ঠ) ধারা মোতাবেক তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিন নেতার বহিষ্কারাদেশ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদে পাঠানো হয়েছে বলে জানান নেতারা।