ত্রিপুরা পুর ভোটের প্রচারে গিয়ে বিজেপিকর্মীদের হামলার মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়।
শনিবার আগরতলা রামনগর ফাঁড়ি এলাকায় সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় পুর ভোটের প্রচারে গেলে তার গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপিকর্মীরা। এ সময় তারা ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে বাবুলকে ঘিরে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে বাবুলকে ঘেরাও করে মুক্ত করে।
গাড়িতে পাথরও ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে একাধিক টুইট করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আগরতলায় বিজেপির সহিংস কর্মীদের সামনে পড়েছিলাম। গাড়িতে পাথর ছোড়া হয়। আমি গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে যেতেই কাপুরুষগুলো পালিয়ে যায়। লজ্জা ও মজার বিষয় হলো, বিজেপি যে রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রচার চালায়, সেই পথ অনুসরণ করে ত্রিপুরায়।’
দ্বিতীয় টুইটে বাবুল লিখেছেন, ‘আমার গাড়ি কখনোই নিরাপদ নয়। বাধার মুখে পড়লেই আমি নেমে মোকাবিলা করি।’
এদিকে ত্রিপুরা পুর ভোটের প্রচারে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
শনিবার ত্রিপুরার সোনামুড়ার এক সভায় ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের মেরে হাসপাতালে পাঠাচ্ছে। আমাদের পাঁচ মিনিট লাগবে জবাব দিতে। বিপ্লব দেব কুয়োর ব্যাং। ও ভাবে, কুয়োটাই পৃথিবী। আমাকে এখানে একটা মারলে, ওখানে আমি পাঁচটা মারব। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তিনি বিশ্বাস করেন, সবার ওপর মানুষ সত্য। তাই তৃণমূল মানুষের সমর্থনে ভোটে জিতবে।’
ত্রিপুরার এক বিজেপি নেতা ফিরহাদের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ‘ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, ধরনের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি। বিজেপি এ ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। তৃণমূল ত্রিপুরায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। হুমকির রাজনীতি ত্রিপুরায় চলবে না।’