ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক রিশাদ হুদার ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজিম আহম্মেদকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ নাজিমকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ মোড় সংলগ্ন আজিজ সুপার মার্কেটের পাশের রাস্তায় সাংবাদিক রিশাদ হুদার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার রিশাদ বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ছেলে।
আহত রিশাদ হুদা জানান, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আজিজ সুপার মার্কেটের পেছনের গলি দিয়ে মোটর সাইকেলে যাওয়ার পথে পেছন থেকে হর্ন বাজিয়ে জায়গা চান তিনি। এ সময় ধানমণ্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পরিচয় দেয়া নাজিম আহম্মেদের গাড়ি থেকে চার ব্যক্তি বেরিয়ে এসে তার ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা হেলমেট দিয়ে রিশাদ হুদার মাথা, বুক ও পিঠে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরে সাধারণ মানুষের তোপের মুখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বাবু ও তার সহযোগীরা। পরে শাহবাগের দিকে আসার পথে আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে রিশাদের মোটর সাইকেল থামিয়ে ভেতরে নিয়ে আবারো মারধর করা হয়। পুলিশ এসে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে এবং নাজিম আহম্মেদকে আটক করে।
আহত রিশাদ হুদাকে পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক)বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে একজন সাংবাদিক দুর্বৃত্তদের হামলায় লাঞ্ছিত হয়েছেন। রাতে এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি থানায় চলে যান।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক রিশাদ হুদার ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজিম আহম্মেদকে প্রধান আসামি করে আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা নাজিম আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করেছি।’
বিএসআরএফের নিন্দা
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্য ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার রিশাদ হুদার ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেছে বিএসআরএফ।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকসহ নেতৃবৃন্দ শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।