টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ৯ দিন পর স্কুলের ছাদে সিল মারা ৫২৭টি ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। ভোটে পরাজিত প্রার্থী বলেছেন, তিনি মামলা করবেন।
উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের সেহরাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ থেকে শনিবার দুপুরে তালগাছ প্রতীকে সিল মারা এসব ব্যালট উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ১১ নভেম্বর উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নে দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচন হয়। এই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী বিউটি আক্তার ৩০০ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। নির্বাচনের ৯ দিন পর এই ইউনিয়নের সেহরাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে শিশুরা খেলতে গিয়ে ব্যালটগুলো পায়। তারা বিষয়টি শিক্ষকদের জানায়।
শিক্ষকরা স্থানীয় লোকজনকে জানালে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী বিউটি আক্তার ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ব্যালট পেপার দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এই সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মাইক প্রতীকের প্রার্থী রাশেদা বেগম ১ হাজার ৮০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
বিউটি আক্তার বলেন, ‘আমাকে ৩০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত দেখানো হয়। ভোটের ৮ দিন পর আমার নিজ কেন্দ্রের বিদ্যালয়ের ছাদে তালগাছ প্রতীকে সিল মারা ৫২৭টি ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এই ব্যালটগুলো যোগ করলে আমি দুই শতাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতাম।’
তার অভিযোগ, ‘নির্বাচনে হারাতে সংশ্লিষ্টরা আমার প্রতীকের সিল মারা ব্যালট পেপার বিদ্যালয়ের ছাদে রেখে দেয়। পরে ভোট গণনা করে আমাকে ফেল দেখানো হয়।’
এ ঘটনায় তিনি আদালতে মামলা করবেন বলেও জানান।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।’
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসান জানান, নির্বাচনে আপিলের সুযোগ আছে। তিনি ইচ্ছা করলে আপিল করতে পারবেন। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কারও গাফিলতির কারণে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিধিমতো ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে।