জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলার পর কিশোরীর আত্মহত্যার মামলায় আব্দুর রাজ্জাক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি মামলার তিন নম্বর আসামি। তবে প্রধান দুই আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
শুক্রবার রাতে কিশোরীর বাবা আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় ওই মামলাটি করেন। শনিবার সকালে গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক প্রধান আসামি রফিকুলের মামা। এরা বাঘাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বড়তারা গ্রামের শাহিনুর, রনি ও তার স্ত্রী জোবেদা বিবি।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, আত্মহত্যা করা ওই কিশোরী বৃহস্পতিবার দুপুরের পর বাড়ির সামনে একা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় রফিকুল, শাহিনুর ও অন্য আসামিরা তাকে প্রচণ্ড অপমান করে। অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে যৌন নির্যাতনের জন্য তাকেই দায়ী করে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়। মামলা প্রত্যাহার না করলে রফিকুল তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করারও হুমকি দেয়। এ অপমান ও হুমকি সইতে না পেরে ওইদিন বিকেলে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
আত্মহত্যার পর ওই কিশোরীর সুইসাইড নোট পাওয়ার দাবি করে তার পরিবার। মামলার এজাহারেও সুইসাইড নোটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এর আগে কৌশলে স্কুলের পরিত্যক্ত ভবনের ছাদে নিয়ে ওই কিশোরীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায় রফিকুল ও সহযোগী শাহিনুর। এ ঘটনায় তাদের আসামি করে ৮ নভেম্বর ক্ষেতলাল থানায় মামলা করেন কিশোরীর বাবা। মামলার পর থেকে নির্যাতিত পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন আসামিরা। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী।
সুইসাইড নোটের বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্র নাথ মণ্ডল বলেন, ‘মেয়েটি সুইসাইড নোট লিখে গেছে এমন তথ্য আত্মহত্যার দিন আমাদের কেউ বলেননি। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’