ঝালকাঠির নলছিটিতে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আলম খান আলো পলাতক। আলো উপজেলার মেরুহার গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে। তিনি বরিশাল পোর্ট রোডে মাছঘাটের শ্রমিক সরদার।
মেয়েটির পরিবার জানায়, লেখাপড়ার জন্য মেয়েটি নলছিটির নানাবাড়িতে থাকে। সে ওখানকার একটি কওমি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ওর বাবা বরিশালে রিকশা চালান। মা-বাবা দুজনই বরিশালে থাকেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি এলে নানি তাকে ভাত খেতে দিয়ে জরুরি কাজে বাইরে যান। এ সময় আলম খান আলো ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। নানি এসে এ ঘটনা দেখে ফেলেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন আলো। বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটির নানাবাড়িতে আলোর আত্মীয় মো. আনিচের নেতৃত্বে স্থানীয় আজিজ বক্স, আলী আকাবর ও খলিল মীমাংসার জন্য বৈঠকে বসেন। তারা অভিযুক্ত আলোকেও খবর দিয়ে সেখানে আনেন।
বৈঠকে ধর্ষণের বিচার করা হয় ১০টি জুতার বাড়ি ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। বৈঠক শেষে উপস্থিত লোকজনের সামনেই জুতার বাড়ি দেয়া হয় আলোকে। ৫০ হাজার টাকা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেয়ার কথা বলে চলে যান আলো। এর পর থেকেই আলো গা ঢাকা দেন। তার সেলফোনটিও বন্ধ। এ ব্যাপারে সালিশকারীরা কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ‘মেয়েটির বাবা-মা প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। এখন আবার ঘটনা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। তাই আবারো পুলিশ পাঠিয়েছি। ধর্ষণের ঘটনা কোনোক্রমেই স্থানীয়ভাবে মীমাংসাযোগ্য নয়। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’