বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাঠ বলে দেবে কখন কী করতে হবে: গয়েশ্বর

  •    
  • ২০ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:৫২

গয়েশ্বর বলেন, ‘সব সময় নেতারা নির্দেশ দেয়ার সময় না-ও পেতে পারেন, কোন জায়গায় কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন, সেটা নিজের বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে করতে হবে। যারা যেখানকার দায়িত্বে আছেন, দয়া করে নিজের দায়িত্ব পালনের জন্য এলাকায় থাকুন। আমাদের সংগ্রাম শুরু।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির সংগ্রাম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। একই সঙ্গে তিনি নেতা-কর্মীদের নিজেদের এলাকায় অবস্থান নেয়ারও নির্দেশনা দিয়েছেন।

গয়েশ্বর বলেছেন, ‘আমরা যেন ভাবি আজকে শুরু করলাম। যতক্ষণ পর্যন্ত সফল না হব, ততক্ষণ আমাদের চলার গতি থামবে না। এটা তীব্র থেকে তীব্র হবে। মাঠ বলে দেবে কখন কী করতে হবে। আপনার তা-ই করবেন।’

শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে গণ-অনশন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘সব সময় নেতারা নির্দেশ দেয়ার সময় না-ও পেতে পারেন, কোন জায়গায় কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন, সেটা নিজের বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে করতে হবে। যারা যেখানকার দায়িত্বে আছেন, দয়া করে নিজের দায়িত্ব পালনের জন্য এলাকায় থাকুন। আমাদের সংগ্রাম শুরু।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি পুলিশ এ সরকার টিকিয়ে রাখছে। কোনো সময়ই পুলিশ কোনো সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারে নাই। আমি আপনি যদি চাই, তাহলে সরকার যাবে। আর আমি আপনি যদি না চাই, পুলিশ দিয়ে সরকার টিকে থাকে না।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় আজকে বড় বাধা আইনের নয়। আজকে বড় বাধা খালেদা জিয়ার জন্য শেখ হাসিনা। তিনি যেন তার কৃতকর্মের জন্য এবং দায়মুক্তির জন্য নেত্রীর চিকিৎসার ব্যাপারে বাধা না দিয়ে সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মনে করতে হবে, তিনি তার ভবিষ্যতের জন্য কোনো ভালো কাজ করছেন। আর তিনি যদি ভেবে থাকেন খালেদা জিয়া নাই আর কোনো ভয় নাই।

‘খালেদা জিয়ার জীবনে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, শেখ হাসিনা আপনি বোধহয় এক ঘণ্টাও বাংলাদেশে টিকে থাকতে পারবেন না। এটা বিএনপি লাগবে না। বাংলাদেশের জনগণ ছাড়বে না।

জিয়াউর রহমানের হত্যার পর বাংলাদেশের মানুষ পালিয়ে যায়নি। বিএনপির নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘সেদিনকার গণজাগরণের মধ্যে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নেয় নাই। ক্ষমতা রেখে গেছে। জিয়াউর রহমানের লাশ তারা ঢাকা এনে দিতে বাধ্য হয়েছিল। আমরা সেই যোদ্ধার দলের অনুসারী। আমরা হুংকার দিয়ে মাঠে ছিলাম।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘এখানে অনেকে অর্ডার দেন। যারা করতে পারে তাদের অর্ডার লাগে না। আর যারা পারে না তারা অর্ডার দিলেও পারে না। আপনি গিয়ে করেন খালেদা জিয়ার জন্য। যুবদল নামেন, ছাত্রদল যার যার প্রোগ্রাম দেন, কে মানা করেছে। সুতরাং যে পারেন করেন, যে না করেন কইরেন না। যারা পারেন তাদের করতে দেন। যারা যে যে এলাকায় দায়িত্ব নিয়েছেন নিজের এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে যান, সময় নাই আমাদের, সময় নাই হাসিনার।’

এ বিভাগের আরো খবর