ইউপি নির্বাচনে নিজ সংসদীয় এলাকায় সহিংসতা এড়াতে বিশেষ কৌশল নেয়ার কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেছেন, তার সংসদীয় এলাকা আখাউড়া-কসবায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট হবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিভিন্ন জায়গায় ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা দেখা দিয়েছে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমার সংসদীয় আসন আখাউড়া-কসবায় নৌকা প্রতীক ইউপি নির্বাচনে না দেয়ার অনুরোধ জানাই। তিনি এ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন।’
সবশেষ দ্বিতীয় ধাপের ভোটের আগে-পরে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু নরসিংদীতেই মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। এ ছাড়া মাগুরায় ৪, মেহেরপুরে ২ এবং কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে নিহত হয়েছেন ১ জন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের একটি আদর্শিক ধারণা গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দিতে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
‘তবে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অনেক প্রস্তুতি প্রয়োজন। সেটি এখনও হয়ে ওঠেনি সংসদীয় আসনগুলোতে। এ কারণ বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচন নিয়ে সংহিংসতা দেখা দিয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘নৌকা প্রতীক না থাকায় আমি মনে করি না নির্বাচন নিয়ে জনগণের ইচ্ছা নষ্ট হয়ে যাবে। জনগণ চায় স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনকে উৎসবমুখর করে অংশগ্রহণ করতে। সে কারণে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন নিয়েছি, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো ওপেন (উন্মুক্ত) করে দেয়া হবে।’
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের তিনি বলেন, ‘উন্মুক্ত নির্বাচন করা মানে কিন্তু এটা না, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে যেমন-তেমনভাবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পড়বেন। সবাইকে বিবেচনা করে আওয়ামী লীগের পরিবারের একজনকে নির্বাচিত করতে হবে। যদি কেউ ষড়যন্ত্র করেন এ ব্যাপারে তাহলে কিন্তু কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আপনারা যে কেউ দাঁড়াতে পারেন আপত্তি নেই, কিন্তু ব্যক্তির চেয়ে দল বড়।’