সান্ধ্য আইন (সূর্যাস্ত আইন) বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রোকেয়া হলের ছাত্রীরা আন্দোলনে নেমেছেন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্রীরা। দুপুর ২টা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলে।
ছাত্রীরা জানান, দাবির বিষয়ে লিখিতভাবে প্রভোস্টকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তাদের দাবিগুলো হলো, সান্ধ্য আইন বাতিল, হলের ওয়াইফাই সমস্যার সমাধান, ডাইনিং-ক্যান্টিনের খাবারের মান বাড়ানো, সাবেক শিক্ষার্থী ও গেস্ট থাকার অনুমতি, স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষে দুই মাস হলে থাকার সুযোগ, হলের স্টাফদের দুর্ব্যবহার রোধ, হলে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত, মশা-মাছি নিধন, রিডিং রুমে পড়ার পরিবেশ নিশ্চিত করা।
রোকেয়া হলের ছাত্রীদের অভিযোগ, সন্ধ্যা ৬টার পর হল থেকে বাইরে যেতে দেয়া হয় না, অন্য হলের কাউকে হলে ঢুকতে দেয়া হয় না, গেস্ট প্রবেশ নিষেধ, মা-বাবাদের রুমে আসতে বাধা দেয়া হয়।
এসব বিধি বাতিলের দাবিতে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাকিলা খাতুন বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকার চাই। হলে সুস্থভাবে থাকতে চাই। হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনের খাবারের মান বাড়াতে হবে। খালা ও হল কর্মকর্তাদের দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। রান্নাঘর সংস্কার করতে হবে। আমরা আমাদের অধিকার বাস্তবায়ন করে যাবো।’
ওই হলের আরেক শিক্ষার্থী রুমি আক্তার বলেন, ‘হলে দুই মাস ধরে ওয়াইফাই নেই। রাত ৮টার পর ডাইনিংয়ে খাবার পাওয়া যায় না। এক প্লেট খিচুড়ির দাম নেয় ৩০ টাকা। এনিয়ে আমরা কথা বললে হলের খালা ও কর্মকর্তারা দুর্ব্যবহার করেন। নিরুপায় হয়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. লিয়াকত আলী বলেন, ‘সব সমস্যার সমাধান হবে। এ নিয়ে ওই হলের প্রভোস্টের সঙ্গে কথা হচ্ছে।’
রোকেয়া হলের প্রভোস্ট জয়ন্তী রানী বসাক বলেন, ‘ছাত্রীদের অনেকগুলো দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট। এ বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। প্রশাসন তিন-চার দিনের মধ্যে এসব দাবি নিয়ে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেবে।’