সীমান্তে হত্যা বন্ধে অঙ্গীকারের পরও বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি নিহত হওয়া ভারতের জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশ সরকার চায় না সীমান্তে একটি লোকও মারা যাক। এ নিয়ে দুই দেশের সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
‘ভারত সরকার অঙ্গীকারও করেছে, বর্ডারে একটি লোকও মারা যাবে না। এত কিছুর পরও সীমান্তে হত্যা ঘটছে। এটি দেশের জন্য দুঃখজনক, ভারতের জন্য লজ্জার।’
সম্প্রতি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হন দুই বাংলাদেশি। এর আগে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্ত থেকে দুই বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়েও কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশ এক বাক্যে বলেছে, রোহিঙ্গারা যাতে তাদের দেশে ফেরত যায়। ইতিমধ্যে প্রস্তাব পাস হয়েছে। আমরা যেটার জন্য এত দিন ধরে চেষ্টা চালিয়েছিলাম।’
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: নিউজবাংলা
মোমেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এতে করে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়বে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে। মিয়ানমার এর আগে আমাদের বলেছে, রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নেবে এবং লোকগুলো যাতে তাদের দেশে ফেরত যায়, সে জন্য তারা পরিবেশও তৈরি করবে, কিন্তু পাঁচ বছরে তারা কথা রাখেনি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামীতে তারা (মিয়ানমার) কথা রাখবে এবং এ দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের তারা আস্তে আস্তে ফিরিয়ে নেবে।’
সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই সময় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।