আন্দোলনের মুখে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনগণের কাছে যেভাবে ক্ষমা চেয়েছেন বর্তমান সরকারেরও তেমন পরিণতি দেখছেন নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার দাবিতে শনিবার রাজধানীর নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির গণঅনশনেও সংহতি জানান তিনি।
মান্না তার বক্তব্যে বলেন, ‘এই সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে লাভ হবে না। এই সরকারের গলায় গামছা লাগিয়ে দাবি আদায় করতে হবে।’
ভারতে কৃষক আন্দোলনের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভারতের কৃষকরা তাদের দাবি আদায় করেছে এবং ভারতের এক নেতা দুই হাত দিয়ে করজোড়ে ক্ষমা চেয়েছে। আমি মনে করি আমার দেশেও একদিন সময় আসবে। বর্তমান সরকার করজোড়ে ক্ষমা চাইবে, কিন্তু দেশের জনগণ ক্ষমা করবে না।’
এক বছরের বেশি সময় ধরে ভারতের কৃষকেরা বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলে আন্দোলন করে আসছিলেন। তবে এ বিষয়ে এতদিন মোদি সরকারের কঠিন অবস্থান থাকলেও শুক্রবার আচমকাই কৃষকদের দাবি মেনে নেয়ার খবর আসে।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি কৃষি আইনগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। বলেন, চলতি মাসেই পার্লামেন্ট অধিবেশনে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে।
নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি
আন্দোলনের মুখে ভারতের কৃষকদের কাছে মোদি সরকারের পরাজয়ে আশার রসদ পাচ্ছেন মাহমুদুর রহমান মান্নাও।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যত বাধা বিপত্তি আসুক না কেন আপনাদের এই কর্মসূচ যেন চলতে থাকে। তারপরে সকল মানুষকে একত্রিত করে আন্দোলন এমন পর্যায়ে নিতে হবে যাতে এই স্বৈরাচারী সরকার পতন হয়।’
বিএনপির যেকোনো কর্মসূচিতে নাগরিক ঐক্য মাঠে থাকবে বলেও জানান মান্না। বলেন, ‘বিএনপির যেকোনো কর্মসূচিতে আগেও সংহতি জানিয়েছি সামনেও জানাব। আমি মনে করি আজকের কর্মসূচি শেষ কর্মসূচি নয়। সামনে আরও কর্মসূচি করা হবে। সেই কর্মসূচিতে আমি আমার দল নাগরিক ঐক্য অংশগ্রহণ করবে। এই অবৈধ সরকারকে যতদিন না নামাতে পারব ততদিন এই আন্দোলন চলবে।’