বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ে চাচা-ভাতিজা

  •    
  • ২০ নভেম্বর, ২০২১ ০৯:৩৮

বিদ্রোহী প্রার্থী আতিয়ার রহমান সরদার বলেন, ‘গত নির্বাচনে হেরে গেলেও এবার জিততে কোনো অসুবিধা হবে না। অনেক জায়গায় তো চাচা-ভাতিজা, ভাই-ভাইসহ একই পরিবারের লোকজন একে-অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমি করলে দোষের কী! সে (নৌকার প্রার্থী) আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে।’

যশোরের বাঘারপাড়ায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ধলগ্রাম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চাচা-ভাতিজার লড়াই জমে উঠেছে।

এই ইউনিয়নে তাদের বাইরে আর কেউ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।

সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা হলেও ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা চেয়েছিলেন দুজনই। মনোনয়ন যুদ্ধে চাচাকে হারিয়ে ভাতিজা পেয়ে যান দলীয় মনোনয়ন।

বঞ্চিত হয়ে ভাতিজাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি চাচা আতিয়ার রহমান সরদার।

২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি।

গত ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমে নৌকার কাছে হেরে যান আতিয়ার রহমান।

৭৯ বছর বয়সী প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আতিয়ার রহমান ১৯৯২ সালে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১ নম্বর সদস্য এবং একই সংগঠনের সাবেক সভাপতি।

দলের বিপক্ষে ভোটযুদ্ধে নামায় ভালোভাবে মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। বংশের লোকজনও পড়েছেন বিপাকে।

ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা আতিয়ার রহমান সরদারকে নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে ভোট না করার অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি শোনেননি। জেলা ও উপজেলা নেতারাও তাকে ভোট না করার জন্য বলেন। তাদের কথাও রাখেননি তিনি।’

আতিয়ার রহমানের চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বংশের লোকজন নিয়ে তার (আতিয়ার সরদার) সঙ্গে বসেছি। বলেছি ভোটে না দাঁড়িয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করতে। তবুও শোনেননি। বংশের লোকজন প্রায় সবাই রবিউল ইসলাম রবির পক্ষে কাজ করছেন।’

এদিকে অভিযোগ রয়েছে বিএনপির ঘাড়ে ভর করে নির্বাচনে জিততে চান আতিয়ার রহমান। এরই মধ্যে ভোটের মাঠে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আনতে নানা ধরনের অভয় দিচ্ছেন বলেও প্রচার রয়েছে এলাকায়।

ইউনিয়নের আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের মধ্যবয়সী কৃষক ইখতিয়ার হোসেন বলেন, ‘আতিয়ার সরদার শুধু মত পাল্টান। এর আগেও নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছেন। আর রবিরে সব সময় নৌকার পক্ষে থাকতি দেহিছি। যে জন্যি এবার তিনি নৌকা প্রতীক পাইছেন।’

কবির ভিটা গ্রামের ইমরাউর সরদার বলেন, ‘নৌকার পক্ষে জোয়ার আছে। আতিয়ার রহমানের বয়স হয়েছে। শেষ বয়সে ভোট করা উচিত হয়নি তার।’

বিদ্রোহী প্রার্থী আতিয়ার রহমান সরদার বলেন, ‘গত নির্বাচনে হেরে গেলেও এবার জিততে কোনো অসুবিধা হবে না। অনেক জায়গায়তো চাচা-ভাতিজা, ভাই-ভাইসহ একই পরিবারের লোকজন একে-অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমি করলে দোষের কী! সে (নৌকার প্রার্থী) আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে।’

আওয়ামী লীগের প্রার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর বংশের লোকজনদের নিয়ে চাচার সঙ্গে বসেছি। নির্বাচন না করার জন্য তাকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু চাচা শোনেননি। দু-একজন ছাড়া বংশের বেশির ভাগ সদস্য আমার সঙ্গেই আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নবাসীর সেবা করে চলেছি। যে কারণে দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে নৌকা প্রতীকের মর্যাদা রাখব ইনশাআল্লাহ।’

এ বিভাগের আরো খবর