ক্ষমতাসীন সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নুর বলেন, সরকার সব স্তরে অযোগ্য লোক বসিয়ে রেখে দেশকে গণতন্ত্রহীন করে তুলেছে। দেশে আজ বিচার নেই। বিচার থাকলে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা বার বার আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করতে পারতো না। সরকারের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ এসব হামলা করছে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেন, সরকার ভাসানীর নাম মুছে দিতে চায়। বাংলাদেশ যিনি স্বাধীন করেছেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পিতা, তার ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে না থাকা সেটাই প্রমাণ করে।
সরকারের সামনে দুটি পথ আছে উল্লেখ করে নুর বলেন, একটি হলো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর, আরেকটি হলো নিষ্ঠুর নির্মম পরিণতি। তাদেরকে এই দু’টি পথের একটি বাছাই করতে হবে।
সরকারকে উদ্দেশ করে গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, আমরা সংঘাত-সহিংসতার রাজনীতি চাই না। প্রতিহিংসা-প্রতিশোধের রাজনীতিও চাই না। আমরা সম্প্রীতি সহনশীলতার রাজনীতি চাই। কিন্তু আপনাদের কথা আর কাজে তো মিল থাকে না। ইতিহাস তাই বলে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে নুর বলেন, সরকার বলেছে যে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণে বাড়িয়েছি। এখন বিশ্বাবাজারে তেলের দাম কমেছে। তাহলে দেশের বাজারে সরকার দাম কমাচ্ছে না কেন? দ্রব্যমূল্য দ্রুত কমানো না হলে সারা দেশে আন্দোলন হবে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, ভাসানীর কবরে শ্রদ্ধা জানানোর দিন আমাদের ওপর হামলা হলে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন দেই। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এতে প্রমাণ হয় হামলাটা ওনারাই করিয়েছেন। অতএব এর দায় সরকার এড়াতে পারবে না। যে সরকারের দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষমতা নেই, তার ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া উচিত।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা রহমত উল্যাহ, সহকারী সদস্য সচিব খায়রুল কবিরসহ আরও অনেকে।