মোংলা বন্দরের পশুর নদের হাড়বাড়িয়া এলাকায় কয়লাবোঝাই বাল্কহেডডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিন নাবিকের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্দর চ্যানেলের ১২ নম্বর এ্যাংকারেজ এলাকা থেকে শুক্রবার দুপুরে ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত নাবিকের নাম রবিউল ইসলাম। তার বাড়ি পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী এলাকায়।
মোংলা নৌযান শ্রমিক সংগঠনের নেতা আবুল হাসান বাবুল নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত সোমবার রাতে হাড়বাড়িয়ায় কয়লাবোঝাই বাল্কহেডডুবির ঘটনায় পাঁচ নাবিক নিখোঁজ হন। এর মধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড।
বাকি তিনজন নিখোঁজ থাকা অবস্থাতেই শুক্রবার দুপুরে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে কোস্ট গার্ড।
আবুল হাসান আরও জানান, এরপর থেকে নিখোঁজদের পরিবার মরদেহের সন্ধানে ট্রলার নিয়ে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে হাড়বাড়িয়া-৯ বয়া এলাকায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন তারা। ঘটনাস্থল থেকে পরে রবিউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত বুধবার এ ঘটনায় মোংলা বন্দরের সহকারী হারবার মাস্টার আমিনুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বন্দরের সিনিয়র পাইলট রিয়াজুর রহমান ও নির্বাহী প্রকৌশলী (নৌ নির্মাণ) অনুপ চক্রবর্ত্তী। তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ওই বাল্কহেডের সুকানি (চালক) মহিউদ্দিন ও কর্মচারী নূর ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের বাড়িও পিরোজপুর জেলায়।
এখনও আরও দুই নাবিক নিখোঁজ। তারা হলেন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার মো. জিয়াদ ও বাগেরহাটের মোংলার মো. মাসুম।
সোমবার রাতে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়ার-৯ নম্বর বয়া এলাকায় বিদেশি জাহাজ ‘এলিনা বি’ থেকে ৬০০ টন কয়লা নিয়ে সোমবার রাত ১০টার দিকে বাল্কহেড ‘ফারদিন-১’ ঢাকায় যাচ্ছিল। পণ্য খালাস শেষে বন্দর ত্যাগ করার সময় হ্যান্ডিপার্ক নামে অপর একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দেয়।