ঝালকাঠিতে যৌতুক মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার সময় পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ওই নারীর।
মারিয়া আক্তার জেমী নামের ওই নারীর স্বামী মনির হোসেন ঝালকাঠি সদর ট্র্যাফিক পুলিশের কনস্টেবল।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জেমী শুক্রবার সকালে নিউজবাংলাকে বলেন, “স্বামীর নামে করা যৌতুক মামলায় হাজিরা দিতে গেছিলাম। ফেরার সময় আমার স্বামী মনির হোসেন ও শ্বশুর নিজাম উদ্দিন আমাকে আদালতের কাছে চাঁদকাঠি ইউসুফ আলী খান সড়কে ডেকে নেন। সেখানে ওড়না দিয়ে মুখ চেপে ধরে মনির আমার গলায় ছুরি ধরেন। ওই সময় শ্বশুর বলতেছিলেন, ‘মামলার ঝাল শেষ করে ফেল।’”
জেমী জানান, কোনোমতে তিনি নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড় দেন। পরে ৯৯৯-এ কল করেন এবং থানায় যান। তবে মনির পুলিশ কনস্টেবল জানতে পেরে সদর থানা পুলিশ অভিযোগ লিখতে অনীহা দেখায়।
তবে তার এ অভিযোগ অস্বীকার করেন ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি তাকে অভিযোগ টাইপ করে এনে দিতে বলেছি। দুই পক্ষের কথা শুনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেমী জানান, তার বাড়ি ঝালকাঠির ভৈরবপাশা গ্রামে। ২০১২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বরগুনা জেলা সদরের চরকগাছিয়া গ্রামের মনির হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের পাঁচ বছরের একটি মেয়ে আছে।
চাকরিতে প্রমোশনের জন্য মনির বেশ কিছুদিন ধরে জেমীর পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করছিলেন। টাকা দিতে পারবে না জানালে মনির তার স্ত্রী-সন্তানকে না খাইয়ে রাখা শুরু করেন।
আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যস্ততায় গত ১০ জানুয়ারি আর টাকা দাবি করবেন না বলে মনির চুক্তিপত্রে সই করেন। তারপরও তিনি টাকা দাবি করতে থাকেন। একপর্যায়ে গত ১০ জুলাই জেমী ও তার মেয়েকে বরিশালের ভাড়া বাসা থেকে বের করে দেন মনির। পরে বাবার বাড়ি ফিরে এসে জেমী স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মনিরকে ফোন দেয়া হলে জানান, তিনি অসুস্থ। কথা বলতে পারবেন না।