বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীতে মায়া, কামরুল, লিটন

  •    
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:৫৯

চাঁদপুরের নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও সাভারের একাংশ নিয়ে গঠিত আসনের সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। অন্যদিকে রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ পর্ষদ সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান পেয়েছেন তিন নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

শুক্রবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

আওয়ামী লীগের আগের আমলে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন মায়া চৌধুরী। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। নির্বাচন শেষে মন্ত্রিসভা গঠনের সময়ও তাকে বিবেচনায় আনেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামও সরকারের বর্তমান মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর তাকে খাদ্যমন্ত্রী করা হয়। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে এবার তিনি মন্ত্রিপরিষদে জায়গা পাননি।

খায়রুজ্জামান লিটন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নন। তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামানের ছেলে।

২০০৮ সালে লিটন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র হন। ২০১৩ সালে মেয়র নির্বাচনে তিনি হেরে গেলেও ২০১৮ সালে আবার বড় ব্যবধানে জয় পান।

চাঁদপুরে প্রতিক্রিয়া

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়ায় তার জন্মস্থান চাঁদপুরে দলীয় নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘চাঁদপুরের গর্ব একজন ত্যাগী নেতাকে মূল্যায়ন করায় আমরা আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত। একজন সত্যিকারের সাংগঠনিক নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থান দেয়ায় দল আরো সুসংগঠিত হবে। এজন্য জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’

রাজশাহীতে প্রতিক্রিয়া

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জায়গা পাওয়ায় খুশিতে ভাসছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের অভিনন্দনের জোয়ার বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের আওয়ামী রাজনীতিতে এটি আমাদের জন্য একটি বড় সফলতা। নাসিম ভাইয়ের মৃত্যুর পর একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। খায়রুজ্জামান লিটনকে সভাপতিমণ্ডলীতে জায়গা দেয়ায় সেই শূন্যতা পূরণ হলো।’

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ‘মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীর মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। শহীদ কামারুজ্জামানের রক্তের উত্তরাধিকার। তাকে মূল্যায়ন করায় আমরা রাজশাহীবাসী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। রাজশাহীর রাজনীতিতে বিশেষ করে আওয়ামী রাজনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু বলেন, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হওয়ায় এ অঞ্চলে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি আরও শক্তিশালী হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শক্তি আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ পাবে।

এ বিভাগের আরো খবর