করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় গত ২০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগের দিনের তুলনায় শনাক্তের সংখ্যাও আড়াইশ ছাড়িয়ে হয়েছে ২৫৩।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর এই পরিসংখ্যান বিকেলে জানানো হয়।
মৃতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ চারজন নারী। এদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব দুইজন ও ষাটোর্ধ্ব চারজন।
বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ৬ জন ও চট্টগ্রাম বিভাগে ১ জন রয়েছেন। বাকি বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো মৃত্যু হয়নি।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল সরকার। এরপর দুই দিন ৩ ও ৪ নভেম্বর ৭ জন করে মৃত্যুর কথা জানানো হয়।
মাঝে দুই দিন একজন করে একাধিক দিন দুই থেকে পাঁচজন করে মৃত্যুর তথ্য জানায় অধিদপ্তর।
দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৬ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৯৪৬ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩৬টি ল্যাবে ১৮ হাজার ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪০ ।
গত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৯৮ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮১৬ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়।
সে অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারের লক্ষ্য এই হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা।
দেশে গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ওই বছরের শেষ দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে। এরপর মার্চের শেষ দিক থেকে আবার বাড়তে বাড়তে এপ্রিলে আবার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়।
প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউ আরও প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। এ কারণে ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন এবং পরে ১ জুলাই থেকে দেয়া হয় শাটডাউন। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বিধিনিষেধ শিথিল হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে কমে আসে করোনার প্রকোপ।
গত ৪ অক্টোবর দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এর মধ্যে করোনাবিরোধী টিকা প্রয়োগও গতি পায়।