শেরপুরে নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ে আরও একটি বন্য হাতির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে শেরপুর সীমান্ত এলাকায় দুটি হাতির মৃতদেহ মিলল।
শুক্রবার সকাল ৯টায় মৃত হাতিটি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল করিম জানান, পানিহাতা সীমান্তের ফেকামারীতে শুক্রবার উদ্ধার করা মৃত হাতিটি স্ত্রী। এর বয়স আনুমানিক ৩; কেবল দাঁত উঠতে শুরু করেছিল।
তিনি জানান, গত কয়েক দিন ধরে খাবারের সন্ধানে পানিহাতা এলাকায় পাহাড় থেকে হাতির দল লোকালয়ে নেমে আসছে। সেগুলো স্থানীয় ফসলের ক্ষেতে হানা দিচ্ছে। এই হাতিটিও সেই দলের। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে এর সুরতহাল করা হবে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন জানান, হাতিটির ময়নাতদন্তেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ে বিদ্যুৎ লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত জিআই তারে জড়িয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলে রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম এ ঘটনায় প্রথমে শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ১১ নভেম্বর চারজনের নামে মামলা করেন।
রবিউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্বিচারে বনভূমি দখল করে চাষাবাদ করায় হাতি লোকালয়ে এসে পড়ছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও কোনো সমাধান করতে পারছি না। হাতি হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শেরপুরে এই প্রথম মামলা করল বন বিভাগ। আসামি চারজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।’
একই দিন বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের টেরিডেবার হাইতারাগুনা থেকে গুলিবিদ্ধ একটি হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তার আগে ৬ নভেম্বর সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের হযরত আজগর আলী শাহ মাজারের পশ্চিম পাশে মইত্তাতলী বিলের ধানক্ষেতে একটি মৃত হাতি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
আর ১২ নভেম্বর চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ধানক্ষেতের পাশে পাওয়া যায় আরেকটি মৃত হাতি।
সব মিলিয়ে গত ৬ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিন জেলায় পাঁচটি হাতির মৃত্যু হয়েছে।