দেশের অন্যতম মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্ল্যাটফর্ম মনের বন্ধু প্রথমবারের মতো ইয়ুথ লিডারশিপ বিভাগে ইউএন উইমেনের এশিয়া প্যাসিফিক ডব্লিউইপি অ্যাওয়ার্ড-২০২১ জিতেছে।
বাধা পেরোনোর দক্ষতা, উদ্ভাবন ও লিঙ্গ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে দৃঢ় ভূমিকা রাখায় ইয়ুথ লিডারশিপ বিভাগে এসেছে পুরস্কারটি।
প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন নারী, কর্মীদের মধ্যেও নারীর সংখ্যা বেশি। বিশ্বের ২০টি দেশের ৭০০ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশি স্টার্টআপ মনের বন্ধু পুরস্কারটি জিতেছে। ব্যবসায় নারীবান্ধব সংস্কৃতির প্রচলন ও নারী ক্ষমতায়নের নজির স্থাপনের কারণে, বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় পেশাগত দায়িত্বে লিঙ্গ নিরপেক্ষ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করে মনের বন্ধু।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ইউএন উইমেন এশিয়া–প্যাসিফিক ডব্লিউইপি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদা শিরোপা।
প্রতি বছর উইমেনস এমপাওয়ারমেন্ট প্রিন্সিপালস (ডব্লিউইপি’স)–এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ও কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতার প্রচলনকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ইউএন উইমেন এশিয়া প্যাসিফিক ডব্লিউইপি অ্যাওয়ার্ড দেয় ইউএন উইমেন। বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান এবারই প্রথম কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করার স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কারটি পেলো।
তৌহিদা শিরোপা বলেন, ‘আমি সমতায় বিশ্বাসী। আমার কাছে সমতার মানে হলো সমাজে ছাপ রাখার মতো ব্যবসায়িক চর্চা। একজন তরুণ উদ্যোক্তা ও নেতা হিসেবে আমি বরাবরই চেষ্টা করে যাচ্ছি বিভিন্ন প্রজন্মের অভিজ্ঞদের সঙ্গে তরুণদের যুক্ত করে লিঙ্গ সমতাকে আরও বেশি কার্যকরী করতে এবং এই চর্চাকে ছড়িয়ে দিতে। আমাদের সেবা থেকে শুরু করে সচেতনামূলক কার্যক্রমে, আমাদের সেবাগ্রহীতা থেকে কর্মীদের মধ্যে সবখানে সব পরিস্থিতিতে আমরা লিঙ্গসমতাকে প্রাধান্য দিয়ে আসছি। আর এই চর্চার প্রতিফলনই হলো এবারের পুরস্কার। এটা শুধু মনের বন্ধুর অর্জন নয়, এই অর্জন বাংলাদেশেরও।’
মানসিক সুস্থতা ও স্বাস্থ্যসেবার প্ল্যাটফর্ম মনের বন্ধু ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে। টেকসই লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের সব নাগরিকের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয় প্ল্যাটফর্মে।
অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ মনোবিদ (সাইকো সোশাল এক্সপার্ট) ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে প্ল্যাটফর্ম ৩১ হাজার মানুষকে সরাসরি ও অনলাইন কাউন্সেলিং সেবা দিয়েছে।
পাশাপাশি গত ৫ বছরে বিভিন্ন কর্মশালা, প্রশিক্ষণ ও সচেতনামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ১২ লাখ মানুষকে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা খাতের সঙ্গে যুক্ত করেছে, সেই সঙ্গে অনলাইনে প্রাথমিক সেবা দিয়েছে ৪০ লাখ মানুষকে।