নির্বাচন কমিশন গঠন আইন করতে একটি খসড়া আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের কাছে হস্তান্তর করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন।
আইনের খসড়ায় ইসি গঠনের জন্য আইন তৈরির পাশাপাশি সার্চ কমিটি গঠনের জন্য বেশ কয়েকদফা সুপারিশ দিয়েছে তারা।
আইনমন্ত্রীর গুলশান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আইনের খসড়াটি হস্তান্তর করেন।
একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে দ্রুত আইন প্রণয়ন করার দাবি জানান তারা।
খসড়ায় নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গ্রহণযোগ্য একটি সার্চ কমিটি গঠনের জন্য সাত দফা প্রস্তাব করেছে সুজন।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে-
১. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি, যিনি কমিটির আহ্বায়ক হবেন।
২. সংসদ নেতার মনোনীত জাতীয় সংসদের একজন সংসদ সদস্য।
৩. সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার মনোনীত একজন সংসদ সদস্য।
৪. সংসদের আসন সংখ্যার দিক হতে তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের মনোনীত একজন সংসদ সদস্য।
৫. বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক।
৬. নাগরিক সমাজের একজন প্রতিনিধি, যিনি প্রথম পাঁচ জনের সর্বসম্মত অথবা সর্বসম্মত না হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মনোনীত হবেন।
৭. গণমাধ্যমের একজন প্রতিনিধি, যিনি প্রথম পাঁচ জনের সর্বসম্মত অথবা সর্বসম্মত না হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মনোনীত হবেন।
রাষ্ট্রপতি এই সাতজনকে নিয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠন করে দেবেন। এরপর তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনার বাছাই করবেন।
এ বিষয়ে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের জন্য আইন প্রনয়নের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। এজন্য এ বিষয়ে একটি আইন করা দরকার। আমরা বহু দিন থেকে এ দাবি করে আসছি।
‘সেজন্য সরকারকে সহায়তা করার জন্য অনেক আইননজ্ঞ, সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আইনের একটি খসড়া তৈরি করেছি।’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছি, নির্বাচন কমিশন যেন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হয়। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবসহ ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন২০২১’ আইনের খসড়া আজকে মন্ত্রীকে দিয়েছি। আশা করছি শিগগরি যাতে আইনটি করা হয়।’’