দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান দেবেশ চন্দ্র রায়। তবে এ বছর চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে জানলেন তিনি ওই উপজেলার ভোটার নন।
নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরের উপজেলা ফুলবাড়ীর ভোটার দেবেশ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেবেশ চন্দ্র রায় একই উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মহাদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
১৯৮৭, ১৯৯১ ও ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিনি মরিচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দেবেশ।
তবে ওই সময় তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। সর্বশেষ তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দেন।
১৬ নভেম্বর বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসে মরিচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র কিনতে যান দেবেশ চন্দ্র রায়। এ সময় নির্বাচন কর্মকর্তারা তার জাতীয় পরিচপত্রের নম্বর অনুসন্ধান করে জানতে পারেন দেবেশ ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ভোটার।
দেবেশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তা দেখে আমাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতেই আমার অজ্ঞাতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে প্রতিপক্ষরা। আমি বংশপরম্পরায় বীরগঞ্জের ১১ নং মরিচা ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ ছাড়া আমি তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমি ফুলবাড়ীতে ভোটার হতে যাব কেন?’
দিনাজপুর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশন বরাবর সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে এটি সংশোধিত হবে এবং তিনি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।’
চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নে ২৩ ডিসেম্বর ভোট হবে।