বরিশালে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে হত্যার আট বছর পর দুই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বরিশালের বিশেষ জেলা জজ আদলতের বিচারক টি এম মুসা বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন।
সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন গৌরনদী উপজেলার সুন্দরদী গ্রামের সুলতান শরীফ এবং কার্তিক ভক্ত। মামলার অপর আসামি হেনা বেগমকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।
সাজা পাওয়া আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লস্কর নুরুল হক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সুলতান ও কার্তিকের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল একই এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ দাসের। টরকী বন্দর ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ত কৃষ্ণের ছেলে রানা দাস।
২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি গ্রামের ক্যাডেট স্কুলের পাশে মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায় রানা। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসামিরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরদিন সুলতান, কার্তিক ও হেনা বেগমের বিরুদ্ধে গৌরনদী থানায় অপহরণ মামলা করেন কৃষ্ণ। মামলার পর থেকে সুলতান ও কার্তিক পলাতক।
১৮ জানুয়ারি রাতে স্থানীয় নিখিল সরদারের ডোবা থেকে রানার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, আসামিরা রানার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে ডোবায় মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান।
ওই বছর ৩১ মার্চ গৌরনদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হাসান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লস্কর নুরুল হক জানান, বিচারকালে ২০ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেয় আদালত।