আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করা দরকার। তবে এই মেয়াদে আইন করা সম্ভব না। তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন প্রণয়ন করা সঠিক হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে তার গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইনের একটি খসড়া তৈরি করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আইনমন্ত্রীর কাছে তা হস্তান্তর করেন।
পরে এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইনের একটি খসড়া তৈরি করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আইনমন্ত্রীর কাছে তা হস্তান্তর করেন। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন।ছবি: নিউজবাংলা
রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এই মেয়াদেই অধ্যাদেশ জারি করে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন প্রণয়নের কথা বলেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এর জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদকে পাশ কাটিয়ে এ আইন প্রণয়ন করা সঠিক হবে না।
মন্ত্রী বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসে পরবর্তী অধিবেশন বসবে, ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হবে। তাই এই স্বল্প সময়ে ইসি গঠন আইন প্রণয়ন করা সম্ভব নয়।
তিনি আবারও বলেন, ইসি গঠনের জন্য যে সার্চ কমিটি করার নিয়ম চালু আছে তা আইন না হলেও আইনের কাছাকাছি। কারণ এ সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতি গঠন করে থাকেন।
বদিউল আলম মজুমদার ছাড়াও প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, সৈয়দ আবু নাছের বখতিয়ার আহমেদ, অধ্যাপক রুবাইয়াৎ ফেরদৌস, দিলিপ কুমার সরকারসহ অন্যান্যরা।
নির্বাচন কমিশন গঠনে রিট খারিজ
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ অক্টোবর এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
পরে আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রিটটি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। আইন প্রণয়ন করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিতে পারে না উল্লেখ করে রিটটি খারিজ করে দেয়। আমরা এখন আপিল বিভাগে আবেদন করব।’
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৩ অক্টোবর হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। রিটে আইন প্রণয়নের আগ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন গঠনসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।