দিনাজপুরের কাহারোলের শ্রীশ্রী কান্তজীউ মন্দিরে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস উৎসব।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উৎসবের উদ্বোধন করেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডি সি রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল হাসানসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, ‘যারা ধর্মনিরপেক্ষ চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা বাংলাদেশের চেতনাকে বিশ্বাস করতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ নিশ্চিন্তে নিজেদের ধর্ম পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।’
ঐতিহাসিক এই উৎসবকে ঘিরে দিনাজপুর কান্তজীউ মন্দির এলাকা ভক্তদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে।
মন্দিরসংশ্লিষ্টরা জানান, শ্রীকৃষ্ণের সব লীলার মধ্যে সর্বোত্তম রাসলীলা। এই লীলা অনুসারে রাসমেলা হয়ে থাকে। ১৭৫২ সালে কান্তজীউ মন্দিরের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই মন্দির প্রাঙ্গণে রাস উৎসব ও রাসমেলা হয়ে আসছে।
লোকমুখে প্রচলিত, দিনাজপুর রাজবংশের প্রতিষ্ঠা হয় প্রায় সাড়ে ৫০০ বছর আগে। রাজা প্রাণনাথ ১৭২২ সালে দিনাজপুর শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার কান্তনগর এলাকায় কান্তজীউ মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু করেন। ১৭৫২ সালে এই মন্দিরের কাজ শেষ করেন তার পোষ্যপুত্র রামনাথ।
সে সময় থেকেই কান্তজীউ বিগ্রহ নয় মাস কান্তনগরের এই মন্দিরে এবং বাকি তিন মাস দিনাজপুর শহরের রাজবাড়িতে রাখা হয়। জন্মাষ্টমীর দুই দিন আগে কান্তজীউ বিগ্রহ ধর্মীয় উৎসব-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুর রাজবাড়িতে আনা হয়। এই তিন মাসে রাজবাড়িতে প্রতিদিন প্রভাতি নামকীর্ত্তন ও প্রতি বাংলা মাসের প্রথম শনিবার ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। রাস পূর্ণিমার দুই দিন আগে পদব্রজে কান্তজীউর বিগ্রহ কান্তনগর মন্দিরে আনা হয়।